৯ আগস্ট, ২০১৮ ০১:১৫

রাবির স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচনে শিক্ষকদের প্রভাবিত করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

রাবির স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচনে শিক্ষকদের প্রভাবিত করার অভিযোগ

রাত পোহালেই সকাল আটটা থেকে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’-এর স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচন। দুই বছর মেয়াদী ২১টি কার্যনির্বাহী পদে প্রথমবারের মতো শিক্ষকরা তিনটি প্যানেলে ভাগ হয়ে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং আরও দৃশ্যমান হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকদের অনেকেই।

তবে নিবার্চনে একটি বিশেষ প্যানেলকে ভোট প্রদানের জন্য শিক্ষকদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছে অন্য দু'টি প্যানেল। আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক উপাচার্যপন্থী প্যানেল থেকে আহ্বায়ক প্রার্থী অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অন্য প্যানেল থেকে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. জুলফিকার বরারবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগপত্রে তারা উল্লেখ করেন, ‘মুক্তিযোদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ এর স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই কোনো কোনো মহল শিক্ষকদের ডেকে একটি বিশেষ প্যানেলে ভোট প্রদানের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। এর ফলে নির্বাচনের পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়াও ভোট প্রদানের সময় বিশেষ প্যানেলে ভোট দেয়ার প্রমাণ হিসেবে মোবাইল ফোনে ছবি তোলে তা দেখানোর জন্য অনেক শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তাদেরকে কাছে তথ্য আছে। এমনতাবস্থায় অনেক শিক্ষক আতঙ্গগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। এতে শিক্ষকরা তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট প্রদান করতে সমর্থ হবে না বলে প্রতিয়মান হয়।

এমন অভিযোগরে পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুই প্যানেল প্রাধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে সুষ্ঠু ও নিরোপেক্ষ আতঙ্কমুক্তভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করার স্বার্থে ভোট প্রদানের সময় শিক্ষকগণ যাতে বুথে মোবাইল ফোন নিতে না পারে তা নিশ্চিত করা এবং বুথের সামনের পর্দা তুলে দিয়ে বুথকে উন্মুক্ত করারও দাবি জানিয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. জুলফিকার বলেন, ‘দুটি প্যানেল আমাকে আলাদাভাবে দু'টি অভিযোগপত্র দিয়েছে। তবে অভিযোগ ও তাদের দাবির বিষয়ে আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। নির্বাচন শুরুর আগে আমরা মিটিং করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তিনটি প্যানেলে ভাগ হয়ে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। নিয়মিত শিক্ষকদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা ও দলবেঁধে বিভিন্ন বিভাগ ও শিক্ষকদের চেম্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছেন প্রার্থীরা। এবারই প্রথম তিনটি প্যানেলে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে ২০১৬ সালে দুইটি প্যানেল ছিল। তৎকালীন উপাচার্য ও বর্তমান উপাচার্যপন্থীদের প্যানেল। তারও আগের নির্বাচনে প্রকাশ্যে কোনও প্যানেলই ছিল না।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. জুলফিকার আলী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গতবারের নির্বাচনেও প্যানেল ছিল। এবারও প্যানেল রয়েছে। তবে আমরা নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’

বিডি প্রতিদিন/ ৯ আগস্ট ২০১৮/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর