শিরোনাম
১২ আগস্ট, ২০১৮ ১৮:৫৫

রাবির হলে আনসার কোয়ার্টার বরাদ্দের সিদ্ধান্তে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

রাবির হলে আনসার কোয়ার্টার বরাদ্দের সিদ্ধান্তে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হলে আনসার সদস্যদের বসবাসের জন্য স্থান বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর এই ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

আনসার সদস্যদের বসবাসের জন্য স্থান বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।

রবিবার রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আনসার সদস্যদের বসবাসের জন্য মতিহার হলের টিনশেড ভবনটি বরাদ্দ দিতে প্রক্টর ড. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত একটি নোট প্রকৌশল দফতরে পাঠানো হয়। উপাচার্যের নির্দেশক্রমে এ ব্যাপারে প্রধান প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয় বলে নোটে উল্লেখ করা হয়। এই কাজের জন্য সহকারী প্রকৌশলী আবুল কাশেমকে বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়। রাবি প্রক্টর জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়াকে আনসারদের বর্তমান কোয়ার্টার বরাদ্দ দেয়ার জন্য আনসার সদস্যদের সরিয়ে সাময়িকভাবে মতিহার হলে নেয়া হচ্ছে।

রাবি ছাত্র ইউনিয়নের বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরাতন ও ঐতিহাসিক মতিহার হলের টিনশেডের কক্ষগুলো আনসারদের আবাসনের জন্য বরাদ্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যা পুরোদস্তুর প্রশাসনের অবিবেচকতার উদাহরণ হিসেবেই গণ্য করা যায়। একটি স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সাথে ক্যাম্পাসে পুলিশ বা আনসার কোনভাবেই বৈধ নয়। প্রশাসন ছাত্র সংসদ নির্বাচন না দিয়ে ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত না করে পুলিশ-আনসারকে স্থান দিয়ে ছাত্রদের সাথে মুখোমুখি এক বিরোধী অবস্থানে নিয়ে গিয়েছে।

আরও বলা হয়, ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কোন আধা-সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন নেই, এই পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে রাকসু নির্বাচন প্রয়োজন। অবিলম্বে ক্যাম্পাস থেকে এসব আধা সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিয়ে ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর