১৪ আগস্ট, ২০১৮ ২১:০৫

শোক দিবস উপলক্ষে জবিতে আলোচনা সভা

জবি প্রতিনিধি

শোক দিবস উপলক্ষে জবিতে আলোচনা সভা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সভার শুরুতে ১৫ আগস্ট নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এম.পি বলেন, আমরা যখন ছাত্রলীগ করতাম তখন রাজধানীর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের সাথে আমাদের পরিচয় ছিল এবং তাদের নাম পর্যন্ত আমরা জানতাম। কিন্তু বর্তমানের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চেনা তো দূরের কথা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকেও চিনতে পারে না।

নসরুল হামিদ ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পূর্বে বাংলাদেশের মানুষ ছাত্রলীগের কথা শুনার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে প্রোগ্রামে আসতেন। কিন্তু এখন মানুষের মধ্যে সেই প্রবণতা নেই। মানুষের মাঝে আবার সেই প্রবণতা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব ছাত্রলীগকেই নিতে হবে। নিজেদের থেকেই প্রথমে পরিবর্তন শুরু করতে হবে, তারপর মানুষের মাঝে পরিবর্তন আনতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেকদিন আগেই বলেছেন, বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সহজ হবে না। কারণ ১৯৭৫ সাল থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব সময় দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। তারা সব সময় বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে প্রস্তুত থাকে। তারপরও প্রধানমন্ত্রী তার নেতৃত্বের গুণাবলির দ্বারা বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, প্রতিটি অভ্যুত্থানের পেছনে ক্ষমতার পরিবর্তন লুকিয়ে থাকে। ১৫ আগস্ট কোনো সাধারণ অভ্যুত্থান ছিল না, এটা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বদলের অভ্যুত্থান ছিল। “৬০-৭০ দশকে পৃথিবীর অনেক দেশেই বিশেষ করে ল্যাটিন আমেরিকাতে বছরে ২-৩ বার সামরিক অভ্যুত্থান হত। সেখানে সেনানায়ক থেকে সেনানায়কের ক্ষমতার পরিবর্তন হতো। ৭৫’-এ বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার বদল হয়। কিন্তু ৭৫’-এর হত্যাকাণ্ডে শুধুমাত্র ক্ষমতাই বদল হয়নি, এটা ছিল রাষ্ট্র বদল করার অভ্যুত্থান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, বর্তমান সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল।

এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি-প্রতিদিন/১৪ আগস্ট, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর