১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৭:১৪

পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে দশজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩-৪ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। 

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার দিবাগত রাতে দেরটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু হলে বৈঠক করছিল। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি আসিফ হোসেন গ্রুপের অনুসারীরা বৈঠকে উপস্থিত হলে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রড জিআই পাইপসহ বিভিন্ন লাঠিশোঠা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে দুইজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হলেন সিএসই বিভাগের মুস্তাহিদুর রহমান মহিত (২৩) আর আইসিটি বিভাগের দীপ ঘোষ (২৫)। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সকালে চলে গেছেন। 

কয়েকজন সাধারন শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাঝে মধ্যেই ঝামেলা হয়ে আসছে। সাধারন শিক্ষার্থীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমাদের শিক্ষার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে ভালো ফলাফল আসবে না। 
 
এ বিষয়ে পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, জুনিয়র সিনিয়র বিষয় নিয়ে চায়ের দোকানের ঝামেলার সৃষ্টি হয়। তারই জের বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে শেষ হয়েছে। রাতে খবর পেয়ে আমি নিজে হাসপাতালে গিয়েছি। আমাদের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের মধ্যে কোন গ্রুপিং নেই।
পাবিপ্রবির সভাপতি আসিফ হোসেন বলেন, গত সোমবারের ঘটনার সাথে এই ঘটনার কেন সম্পর্ক নাই। রাতে হলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুনিয়র কর্মীরা নিজের মধ্যে ঝামেলা করেছে। এই ঘটনার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা বিষটি দেখছি ক্যাম্পাসে কোন সমস্যা হতে দেওয়া হবে না। 

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রো ভিসি ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত দুইদিনে যে সকল ঘটনা ঘটেছে ক্যম্পাসে, এটি সত্যিই কাম্য নয়। আমরা ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করছি। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে, তবে থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন লিখিত কোন অভিযোগ করেনি।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর