১২ অক্টোবর, ২০১৮ ২০:৪৬

সেশনজটে হতাশায় হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

সেশনজটে হতাশায় হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

শিক্ষক সংকটসহ নানা কারণে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি অনুষদে সেশন জটের কবলে পড়েছে। এতে হতাশা আর অনিশ্চয়তায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। 

বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা জানায় সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদ, কৃষি, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে এ সেশনজট বেশি। সেশনজট গড়ে ৩ থেকে ১০মাস পর্যন্ত একেকটি অনুষদ বা বিভাগে রয়েছে। এটা দিন দিন বাড়ছে। 

এসব অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক সংকট, অনেক শিক্ষক পড় করতে বিদেশ যাত্রা, শিক্ষকদের বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস নেওয়া, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা না নেওয়া এবং পরীক্ষার খাতা নির্ধারিত সময়ে মূল্যায়ন না করাসহ শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, সামাজিক কাজে ব্যস্ততাকেই সেশনজটের জন্য দায়ী করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। ফলে চার বছরের সম্মান কোর্স শেষ করতে লাগছে ৫ বছরের বেশি। 

সেশনজট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের পথে যেন একটা দেয়ালের মতো। প্রতি এক মাসের জট মানেই স্বপ্ন পূরণে একটা ধাপ পিছিয়ে থাকা। সেশনজট মানে হতাশা এবং অপার সম্ভবনাকে যেন জোর করে মুষ্টিবদ্ধ করে রাখা। এমনটাই হতাশা ব্যক্ত করলেন হাবিপ্রবি’র কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আব্দুল মান্নান, বিজ্ঞান অনুষদের নুর ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। 

ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী খন্দকার মো নূরনবী জানান, শিক্ষক সংকট। ল্যাবে ভালো মানের যন্ত্রপাতি নাই। ক্লাস রুম সংকট। এসব সংকটের কারণে সেশন জট। শিার গুণগত মান বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে যেতেও পারছে না। 

শফিকুল ইসলাম স্বজলসহ শিক্ষার্থীরা জানায়, অন্যান্য অনুষদের চেয়ে সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে। ইংরেজি বিভাগের ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ ব্যাচ, অর্থনীতি বিভাগের ১ম, ২য়, ৩য় এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১ম, ২য় ব্যাচসহ কম-বেশি সবকটি ব্যাচের সেশনজট রয়েছে। ইংরেজি বিভাগ রয়েছে সবার শীর্ষে। সেশনজটের কারণে হতাশায় ভুগছে শিক্ষার্থীরা। 

সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. রেজাউল হক শিক্ষক সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, কিছুদিন আগে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক জটিলতার কারণে সেশনজট তৈরি হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন শিক্ষক বিদেশে পড়তে গেলে সমস্যা আরও তীব্র হয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে জানানো হয়েছে। শীঘ্রই শিক্ষক নিয়োগ দিবেন। শিক্ষক নিয়োগ হলে আর শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা পেলে এই সেশনজট কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে। 

হাবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সফিউল আলম জানান, প্রয়োজনের তুলনায় কয়েকটি অনুষদে শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। অনুষদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে গত ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর