১৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:৩৮

রাবিতে ৪ শিবির নেতাকর্মীকে পুলিশে সোপর্দ, ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাবিতে ৪ শিবির নেতাকর্মীকে পুলিশে সোপর্দ, ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিবির সন্দেহে ৪ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ। এদের মধ্যে একজনকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। পুলিশে সোপর্দের সময় ক্যাম্পাসে দুটি ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

রাবি ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহিল গালিব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে থেকে ১৪ শিক্ষার্থীকে ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের মধ্য থেকে চারজনের সরাসরি ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেই চার শিবির নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফ উজ জামান বলেন, ‘হলে শিবির সন্দেহে শিক্ষর্থীদের আটক করেছিল ছাত্রলীগ। আমি এসে যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে হল থেকে বের করে দিয়েছি। তবে বাইরের শিক্ষার্থীদের এই হলে নিয়ে এসে মারধর করাটা আমার পছন্দ হয়নি।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় প্যারিস রোডে একসঙ্গে হাটাহাটি করছিল সেই শিক্ষার্থীগুলো। তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পাশের রাস্তায় তাদের থামতে বললে তারা দৌঁড়ে এদিক-সেদিক পালানো শুরু করে। ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গিয়ে তাদের আটক করে। প্রথমে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে নিয়ে পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বঙ্গবন্ধু হলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরপরেই রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হল ও মমতাজ উদ্দিন কলাভবনের সামনে দুইটি ককটেল বিষ্ফোরণের প্রকট শব্দ শোনা যায়। 

ছাত্রলীগের রাবি শাখার সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, সন্ধ্যায় আমরা খবর পেলাম ছাত্র শিবিরের একটি দল ক্যাম্পাসে মিছিল করছে। সংবাদটি শুনে তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনের রাস্তায় তাদের থামতে বলা হয়। কিন্তু এদিক-সেদিক দৌঁড়ে তারা অনেকে পালিয়ে যায়। পরে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে গিয়ে তাদের ১৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হই। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চারজন শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পেয়ে তাদেরকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বাকীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ককটেল বিষ্ফোরণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা শিবিরের কয়েকজনকে ধরেছি। এসময় আবার দুইটি ককটেল বিষ্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করতে তারাই ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানলে প্রশাসনকে জানাই। ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির সন্দেহে শিক্ষার্থীদের আটক করেছে ছাত্রলীগ। এরপর তাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে নিয়ে যায় তারা। এরপর আমি নিজে ঘটনাস্থলে গেলে তারা আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করে।

জানতে চাইলে নগরীর মতিহার থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন জানান, আটককৃত শিক্ষার্থীদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর