১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৫২টি নভেম্বর পার করে ৫৩টিতে পা রেখেছে শাটলের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। 

১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতবর্ষ ভাগের আগে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আলোচনা হয়। রাওয়ালপিণ্ডিকেন্দ্রিক শাসনকালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রশাসন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। সবুজ পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

সবুজ অরণ্যে ঘেরা পাহাড়ি ও সমতল ভূমিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ১৮ নভেম্বর। ৪টি বিভাগ, ৭ জন শিক্ষক এবং ২০৪ জন নিয়ে শুরু হওয়া চবির বর্তমান বিভাগ দাঁড়িয়েছে ৪৯টিতে। ৯টি অনুষদ আর ৬টি ইনস্টিটিউটে চলছে বর্তমান প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম। বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৭ হাজারের অধিক। 

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে নামামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুর চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন। এরপর উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজের প্রতিনিধি। তাঁদেরকে মানব কল্যাণে ব্রতী হতে হবে। উন্নত-সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষা-গবেষণার মান বাড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র পঠন-পাঠনের জায়গা নয়, এটি হচ্ছে আধুনিক জ্ঞান সৃজন এবং বিতরণের তীর্থ স্থান।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত স্টিকার ফেইসবুক প্রোফাইলের ছবিতে ব্যবহার করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।

বিডি-প্রতিদিন/১৮ নভেম্বর, ২০১৮/মাহবুব