১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:১০

বেরোবির রেজিস্ট্রারকে লিগ্যাল নোটিশ

বেরোবি প্রতিনিধি:

বেরোবির রেজিস্ট্রারকে লিগ্যাল নোটিশ

বিভাগের প্লানিং কমিটি থেকে এক শিক্ষককে বাদ দেওয়ার জেরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইবরাহীম কবীর ও লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জুবায়ের ইবনে তাহেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। গত ৯ ডিসেম্বর নোটিশটি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

লোক প্রশাসন বিভাগের প্লানিং কমিটি থেকে আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদকে বাদ দেওয়ায় আইন ভঙ্গ হয়েছে উল্লেখ করে লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদকে পুনরায় ওই বিভাগের প্লানিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানিয়েছেন এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদকে লোক প্রশাসন বিভাগের প্লানিং কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিষয়টি অবগত করে তাকে চিঠি দেন ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জুবায়ের ইবনে তাহের। পরে লোকপ্রশাসন বিভাগের প্লানিং কমিটি যথাযথভাবে গঠিত হয়নি উল্লেখ করে ২১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে তাঁর স্থলে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় আদলতের দ্বারস্থ হন আসাদুজ্জামান মন্ডল। একই সাথে তিনি বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩ নভেম্বর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এডভোকেট হাসনাত কাউয়ুম। 

জানা যায়, আইনজীবী এডভোকেট হাসনাত কাউয়ুমের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ দু’দফায় ফিরিয়ে দিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর তা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১১ (৮) ধারা অনুযায়ী কোন বিভাগের প্লানিং কমিটি গঠনে ওই বিভাগের শিক্ষকদের এক তৃতীয়াংশকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে লোকপ্রশাসন বিভাগে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা চারজন। আইন অনুযায়ী দুইজন শিক্ষক প্লানিং কমিটিতে স্থান পাওয়ার কথা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসদ বলেন, চারজন শিক্ষকের মধ্যে আমি জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে দ্বিতীয়। আইন অনুযায়ী প্লানিং কমিটিতে আমার থাকার কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আমাকে বিভাগের প্লানিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু, অজ্ঞাত কারণে ২১ তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আইন লংঘন করে আমাকে ওই কমিটি থেকে বাদ দিয়ে অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি বেআইনি। তাই আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আশাকরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে। 

লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জুবায়ের ইবনে তাহের বলেন, এবিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। তবে, এখন কিছু বলতে পারছি না।

নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইবরাহীম কবীর বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ১২ ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে ফিরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর