১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৭:৫৭

জবিতে ছাত্রলীগের দিনভর সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ৪০

জবি প্রতিনিধি

জবিতে ছাত্রলীগের দিনভর সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ৪০

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দিনভর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সংবাদিকসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। 

সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলাকালে সাত-আটটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে মহড়া দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা। এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

এরপর পদপ্রত্যাশী বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের ফটক থেকে সরে গেলে স্থগিত কমিটি সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে মোবাইলে ছবি ধারণ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিংয়ের নিচে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় কমপক্ষে পাঁচজন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। 

এরপর বিকাল ৩টার দিকে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থানরত পদপ্রত্যাশী বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এসময় দু'পক্ষের কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এদিকে, ছাত্রলীগের দু'গ্রপের সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। এসময় বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস এবং ক্যাম্পাসের আশেপাশের দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, ক্যাম্পাসে কি হচ্ছে তা আমরা জানি না। এটা জানার কথা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের। কারা কি করছে সেটার দায় আমাদের উপর এখন বর্তায় না। 

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন বলেন, সাংবাদিকদের উপর আঘাত অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের (জবি ছাত্রলীগ) একবার স্থগিত করে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

জবির সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়াকে ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের দু'গ্রুপের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। তবে ক্যাম্পাসের ভিতরে কিছু হয়নি। আমরা সকাল থেকে এ পর্যন্ত পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোতয়ালী জোনের এসি বদরুল রিয়াদ বলেন, 'ছাত্রলীগের দু'গ্রুপ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়াতে চাইলে আমরা মাঝখানে অবস্থান নিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দুই দিকে পাঠিয়ে দেই। এ ঘটনায় তিন প্লাটুন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করি। এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

বিডি প্রতিদিন/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর