ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ বলেছেন, “রাষ্ট্রের কাছে যা ক্রাইম তা শিবির কখনও করে না।”
বুধবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার থিয়েটারে অনুষ্ঠিত ন্যারেটিভ নামক একটি সংগঠন কর্তৃক ‘জুলাই পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি: প্রসঙ্গ ছাত্রশিবির’ শিরোনামে আয়োজিত এক ডায়ালগে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় শিবিরের প্রতিনিধিসহ উপস্থিত আলোচকরা জুলাই পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি; বিশেষত ছাত্রশিবির প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।
‘ন্যারেটিভের’ ডায়ালগে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ, হামাস বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী মো. ইশরাক, শামছুন নাহার হলে শিক্ষার্থী সংসদের সাবেক ভিপি তাসনিম আফরোজ ইমি, শামছুন নাহার হল শিক্ষার্থী সংসদের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক অরুণিমা তাসনিম এবং বিশিষ্ট চিন্তক ও এক্টিভিস্ট আরিফুল ইসলাম তুহিন।
শিবিরের সংবিধান অনুযায়ী ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে গেলে বাকি ধর্মাবলম্বীরা কোনও ঝুঁকিতে পড়বে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ বলেন, ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শিবির প্রতিষ্ঠিত হয়। তখনকার প্রেক্ষাপটে আমাদের সমাজে মুসলিমদের একটা পক্ষ ইসলামকে হয় অগুরুত্বপূর্ণ ভেবেছে, না হয় ইসলাম মানতে গিয়ে অতিরঞ্জিত করছিল। উভয়টির মধ্যে সমন্বয় করে মানুষের সার্বিক জীবনের কল্যাণের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে শিবির প্রতিষ্ঠিত হয়। শিবিরের অন্যতম একটি কাজ, সমাজের মূলধারার মাঝে আল্লাহর ভয় ঢোকানো। যার মাধ্যমে তারা অন্যায়, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকবে। রিসোর্সকে সোসাইটির সাথে রিলেট করে সৎ, দক্ষ এবং যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করা শিবিরের অন্যতম লক্ষ্য। রাষ্ট্রের কাছে যা ক্রাইম তা শিবির কখনও করে না। শিবিরের কোনও নেতাকর্মী কখনও কোনও নারীকে নিপীড়ন করেছে এমন নজির পাওয়া যাবে না।
ডায়ালগে হামাস বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইশরাক বলেন, “আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজনীতি করেছে। এর ফলে দেশে ইসলামপন্থী এবং ইসলামপরিপন্থী আলাদা দল তৈরি হয়েছে। একটা মুসলিম দেশে এই ঝামেলা কেন থাকবে। আমি মনে করি না মুসলমান দেশে ইসলামপন্থী রাজনীতির দরকার আছে। ৫ আগস্টের পর থেকে জামাত ইসলামি রাষ্ট্রের কথা খুব একটা বলে না। তারা কল্যাণ রাষ্ট্র এবং সুবিচারের কথা বলে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি তারাও একই নীতিতে বিশ্বাসী।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সামষ্টিক চিন্তাজগতে দাঁড়ি-টুপিকে রাজাকারের চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়। জামায়াতের এই সমস্যা সমাধানের উপায় জানা নেই। জামায়াতের দুইটা সমস্যা। একটা ইসলাম, আরেকটা ৭১। জামায়াত জাতীয় রাজনীতি থেকে সরে গেলে এগুলোর কোনওটাই থাকবে না। তাই জামায়াতের উচিত জাতীয় রাজনীতি থেকে সরে যাওয়া।”
বিডি প্রতিদিন/একেএ