রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য অপরাজয় বাংলা

দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য অপরাজয় বাংলা

দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে শিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হয়েছে কয়েকশ ভাস্কর্য। দৃষ্টিনন্দন এসব ভাস্কর্য সহজেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা মানুষের নজর কেড়ে নেয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনসহ দেশের গুরুত্ব সব ঘটনার প্রতিফলন ঘটেছে এসব স্থাপত্যের মধ্য দিয়ে।

অপরাজেয় বাংলা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বললেই অনেকের মানসপটে ভেসে উঠে 'অপরাজেয় বাংলা'-এর ছবি। এ ভাস্কর্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত। ভাস্কর্যে তিনটি মূর্তি রয়েছে। একটি মূর্তির ডান হাতে দৃঢ় প্রত্যয়ে রাইফেলের বেল্ট ধরা। যেটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। অপর মূর্তিটি থ্রি নট রাইফেল হাতে সাবলীল ভঙ্গিতে দাঁড়ানো। তৃতীয় মূর্তিটিতে একজন নারীকে সেবিকার ভূমিকায় ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াসকে তুলে ধরতে প্রতীকী অর্থে এ ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়। ১৯৭৩ সালে এ ভাস্কর্যের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৭৯ সালে এটি উদ্বোধন করা হয়। এর স্থপতি সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ। রাজু ভাস্কর্য : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে অবস্থিত সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য। ১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ ভাস্কর্যের ওই স্থানে গণতান্ত্রিক ছাত্রঐক্যের সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল চলাকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মিছিলের নেতৃত্ব দানকারী মঈন হোসেন রাজু নিহত হয়। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা। তার স্মরণে ১৯৯৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এ ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়। বর্তমানে অন্যায়ের প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে এ ভাস্কর্যটি।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ভাস্কর্যের মধ্যে স্বাধীনতার সংগ্রাম, শান্তির পায়রা, মধুদা, বেগম রোকেয়া, মা ও শিশু, রউফুন বসুনিয়া তোরণ উল্লেখযোগ্য।

 

সর্বশেষ খবর