রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রাণী বৈচিত্র্যের সমাহার প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর

প্রাণী বৈচিত্র্যের সমাহার প্রাণিবিদ্যা জাদুঘর

রঙিন পাখার ময়ূর তার সামনে পেঁচানো ফনা তোলা বিষধর সাপ আর পাশেই কুমির। সঙ্গে রয়েছে পশুপতি সিংহ আর হাজার রকমের মাছ, সামুদ্রিক কোরাল, শঙ্খ, শামুক, ঝিনুক। একসঙ্গে এত প্রজাতির প্রাণীর দেখা মেলা কল্পনাতীত। এগুলোর মধ্যে অনেক প্রাণী ইতিমধ্যে অবলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু অতি সহজেই এসব বিলুপ্তপ্রায় দুর্লভ প্রাণীর দেখা মেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের 'প্রফেসর মুস্তাফিজুর রহমান মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে'।

বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ১৯৬৯ সালে প্রাণী সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। তার হাতেই গড়ে ওঠে এই প্রাণী জাদুঘরটি। পরবর্তীতে তার নামানুসারে জাদুঘরটির নামকরণ করা হয়। এমন জাদুঘর দেশে এটাই প্রথম। কী নেই এতে? স্তন্যপায়ী থেকে সরীসৃপ কিংবা সামুদ্রিক। জীবন্ত ফসিল থেকে কঙ্কাল। রয়েছে পাঁচ মাস এবং আট মাস বয়সী মানব শিশুও। এখানে অন্তত ৪৪২ প্রজাতির এক হাজার ৫৩৩টি প্রাণীর নমুনা সংরক্ষণ করা আছে। এতে মেরুদণ্ডী প্রাণী রয়েছে ৩৩৬ প্রজাতির ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী রয়েছে ১০৫ প্রজাতির। মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে সিংহ, ছাগল, মাছ ও পাখিসহ রয়েছে অনেক প্রজাতির প্রাণী।

এখানে কিছু প্রাণীকে শুকনো অবস্থায় মমি করে আবার কোনোটিকে ফরমালিনে ডুবিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু পাখি ও কিছু স্তন্যপায়ী স্টাফ করা, বাকি সবই ফরমালিনে সংরক্ষণ করা আছে।

কিন্তু এই সমৃদ্ধ জাদুঘরটি রয়ে গেছে লোক চক্ষুর অন্তরালে। এই জাদুঘর সম্পর্কে দেশের অনেক গবেষকই জানেন না। শুধু তাই নয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছেও এটি রয়েছে অজানা।

এ বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ জাদুঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশে একত্রে এতগুলো প্রাণীর সম্ভার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগেই প্রথম। এটি বিভাগের উদ্যোগেই পরিচালিত হয়ে আসছে।

 

সর্বশেষ খবর