শনিবার, ১৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা
অর্জন

কমেছে সেশনজট বেড়েছে ক্যাম্পাস

কমেছে সেশনজট বেড়েছে ক্যাম্পাস

কয়েক বছর আগেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সেশনজটের কথা শুনলে গা শিউরে উঠত। এখন সেশনজটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণের কথা এলে সবার আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জগন্নাথের নাম চলে আসবে।

জানা গেছে, গত তিন বছর আগেও ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়েছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। ছয় মাসের সেমিস্টার শেষ হতে সময় লাগছে ১১ মাস থেকে এক বছর। চার বছর কোর্স শেষ করতে সময় লেগেছে ছয় থেকে সাত বছর, এতে ঘোষিত গত ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারেনি কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমানে সেমিস্টারের নিয়ম অনুযায়ী সময়মতো ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় যথাসময়ে ফল প্রকাশ এবং শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই ভয়াবহ সেশনজটের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে। বর্তমানে সেশনজট না থাকার কারণে আমরা ঘোষিত বিসিএস পরীক্ষাসহ যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছি। যার কারণে অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে বয়স নিয়েও আমাদের সমস্যায় পড়তে হবে না। এ অবস্থা বিদ্যমান থাকলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে এগিয়ে যাবে।

গত বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাঘৈর গ্রামে ৩৪৯.৫ শতাংশ জমির ওপর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত করা হয়। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'-এর নামে অত্যাধুনিক একটি ছাত্র হল এবং বিশতলা ভবনবিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে ই-বুক চালু করা হয়েছে। গবেষণা ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এমফিল ও পিএইচডি কার্যক্রম চালু হয়েছে। একাডেমিক উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রায় পনের কোটি টাকার হেকেপ প্রজেক্ট চলছে। আগামী শিক্ষাবছর থেকে 'ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন' বিভাগ চালু করা হবে।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট কমে যাওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হলো পরীক্ষার খাতা দেখার নিয়ম শিথিল করা। এখন থেকে পরীক্ষার খাতা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো বাধ্যতামূলক নয়। ডিপার্টমেন্ট ইচ্ছা করলে নিজেরাই খাতা দেখে শিগগিরই ফল প্রকাশ করতে পারবে।

 

সর্বশেষ খবর