রবিবার, ৫ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

শহীদ মিনারের অপেক্ষায়

শহীদ মিনারের অপেক্ষায়

দীর্ঘ ৯ বছর ধরে একটি নান্দনিক শহীদ মিনারের অপেক্ষায় রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অসম্পন্ন শহীদ বেদিতেই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়েই পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ভিসি প্রফেসর ড. গোলাম মাওলা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ লাগোয়া টিলার ওপর মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী প্রস্তাবিত শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ওই স্থানটিকে ঘিরে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নান্দনিক নকশা তৈরি করেছিলেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী প্রফেসর ড. হাশেম খান। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত স্থানটিতে তৈরি নকশার অনুকরণে ডামি শহীদ মিনার তৈরি করে ২১ ফেব্রুয়ারিসহ সব জাতীয় দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হতো। দুই দফা ভিসি পরিবর্তনের কারণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ।

শহীদ মিনারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ৩য় দফা আন্দোলনের মুখে তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. আমীর হোসেন খান ২০১১ সালে স্থান পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে খেলার মাঠ লাগোয়া পাহাড়ে শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। বাজেট স্বল্পতার কারণে ধীরগতিতে চলতে থাকে শহীদ মিনার নির্মাণকাজ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ২৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার জন্য মেসার্স আহসান হাবীব ও মের্সাস সেলিনা ইন্টারন্যাশনাল নামক দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় আবারও থমকে আছে শহীদ মিনার নির্মাণকাজ। ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলী আশরাফ বলেন, শহীদ মিনারের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজের আদেশ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নান্দনিক শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে।

 

সর্বশেষ খবর