রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা
কর্পোরেট

শুধু কাজ নয়, সুস্থ থাকাও জরুরি

শুধু কাজ নয়, সুস্থ থাকাও জরুরি

ডিপার্টমেন্টের পুরো দায়িত্বই দীপার ওপর। ১০ জন সহকর্মীর কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া, সবার সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর নেওয়া, মাসিক রিপোর্ট বানানো আরও ছোটখাটো কত যে দায়িত্ব তাকে সামলাতে হয়, তা বোধ হয় দীপা নিজেও বলতে পারবে না। অজস্র অভিযোগ শোনা, ডজন ডজন টেলিফোন কল অ্যাটেন্ড করা, প্রচুর ই-মেইলের উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও তার মুখের হাসি লেগেই থাকে। কখনো নিজের শরীর বা মন নিয়ে কোনো কমপ্লেন তার মুখ থেকে শোনা যায় না। সহকর্মীরা সবাই অবাক হন। কেউ কেউ তাকে রীতিমতো হিংসা করেন। কারণ আর কিছুই নয়, তার চমৎকার স্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার ব্যাপারে সচেতনতা। শত ব্যস্ততার মাঝেও কখনো ঠিক সময়ে ঠিক খারাবটা খেতে ভোলে না। এমনকি কাজের ফাঁকে একটু-আধটু শরীরচর্চাও করে নেয়। দীপার ভালো থাকার রহস্য বেধ করা যতটা কঠিন বোধ হচ্ছে, ততটা নাও হতে পারে। আসলে নিজে ভালো না থাকলে অন্যকে ভালো রাখা যে প্রায় অসম্ভব সেটা মেয়েরা কখনো মনে রাখেন না। ফলে নিজের স্বাস্থ্য এবং মনের খোরাককে অবহেলা করেন অনায়াসে। কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে চাকরিজীবী মহিলাদের সুস্থ থাকার জন্য কয়েকটি পরামর্শ-

কী করবেন : ওয়ার্কিং ওম্যানদের মধ্যে ক্রনিক ফ্যাটিগ সিন্ড্রোম, অস্টিওপোরোসিস, ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা খুব বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এই শারীরিক সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন ব্যালেন্ডস ডায়েট। কাজের চাপ থাকলেও পেট পুরোপুরি খালি রেখে বা খিদা চেপে কাজ করবেন না। হাতের কাছে ২/১ দিনের হেলদি স্ন্যাক মজুদ রাখুন। মুড়ি, ওয়েফার, তাজা ফল, ড্রাই ফ্রুটস পেট না ভরালেও সাময়িক খিদে মিটবে এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে বিরত রাখবে। চেষ্টা করুন বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে আসতে। সপ্তাহে একদিন বাইরে খেতে পারেন কিন্তু রোজ বাইরে খেলে অসুস্থ হতে বেশি সময় লাগবে না।

* ব্রেকের সময় সিট থেকে উঠে নিজেকে একটু স্ট্রেচ করুন। অফিসের বারান্দা, করিডর বা সম্ভব হলে বাইরে একটু হেঁটে নিন। এ সময় চা বা কফি না খেয়ে আখের রস, ডাবের পানি বা চিনি ছাড়াই ফ্রুট জুস খেতে পারেন। এ সময় সহকর্মীদের সঙ্গে টুকটাক গল্পগুজব করলে কাজের একঘেয়েমি কাটবে।

* চেষ্টা করুন দিনে অন্তত একবার লিফট ব্যবহার না করে হেঁটে উঠতে। গাড়ি থাকলে অফিস থেকে একটু দূরে পার্ক করে হেঁটে আসুন। বয়স ৩০ পেরুলে বছরে অন্তত একবার হেলথ চেক-আপ করান। এ বয়স থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ক্যালশিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেতে শুরু করলে পরে অস্টিওপোরোসিসের ভয় থাকে না। প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা নিজস্ব কাজের জন্য রাখুন। শুধু কাজ নয়, আমাদেরকে সুস্থতার দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর