বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

কর্মী নিয়োগ ও পরিচালনার কৌশল

শামছুল হক রাসেল

কর্মী নিয়োগ ও পরিচালনার কৌশল

কোম্পানিতে কর্মী নিয়োগের আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীকে কোথায় এবং কীভাবে পরিচালনা করা দরকার। প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ার সময় প্রার্থীর যোগ্যতা নিরূপণ করার জন্য যোগ্যতা-সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলো ভালোমতো সাজিয়ে নেওয়া দরকার। এতে প্রার্থী বাছাই করার সময় প্রশ্ন করতে সুবিধা হয়।

অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকই এ সমস্যায় পড়েন— কীভাবে কোন কাজের জন্য কি ধরনের লোক নিয়োগ করবেন এবং কোন পদের জন্য কি কি কাজ নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত। অর্থাৎ কি কাজের জন্য কি ধরনের যোগ্যতাসম্পন্ন লোক নিয়োগ করা প্রয়োজন তা নিয়েই একটা বড় ধরনের সমস্যা হয়। তাই আগে থেকে ঠিক করতে হবে কোন পদের জন্য কোন ধরনের কর্মী নিয়োগ করবেন। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে লোক নিয়োগের সময় এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় এইচআর ম্যানেজমেন্টকে। মূলত এক ডিপার্টমেন্টের লোক কিন্তু অন্য ডিপার্টমেন্টের কাজের ধারা বা নির্দিষ্ট কাজটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে অনেক সময়ই ব্যর্থ হয়। একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দিয়ে যদি আপনি বিক্রির এবং অফিস ম্যানেজের কাজও করান তাহলে সেই কর্মীর কাজের ফলাফল হ্রাস পাবে স্বাভাবিক। কারণ প্রত্যেকেরই একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা থাকে। দক্ষতা অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ করলে কোম্পানির জন্য লাভজনক। এছাড়া কোম্পানির মূল প্রাতিষ্ঠানিক কাজের ধারা ঠিক করে নিলে প্রার্থী বাছাইয়ের সময় সেই মূল কাজটিকে ভিত্তি করে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করেই বুঝে নেওয়া যায় এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রার্থী কতটা জানে এবং এ কাজে তার আগ্রহ কতটুকু। কোম্পানির কাজের একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে নিন। পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া বলতে বোঝানো হয়, কোম্পানির মূল কাজ অনুসারে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে একটি ধারাবাহিক কাজের ধারা ঠিক করে ফেলা।  যে কোম্পানিতে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ বিরাজ করে সেখানে ভালো মেধাবী কোনো প্রার্থী চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে যান না। ভালো দক্ষ প্রার্থী নিয়োগ দেওয়ার আগে তাই আপনার কোম্পানিই ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে নেওয়া আপনার দায়িত্ব। নির্দিষ্ট দায়িত্ব কর্মচারীদের মধ্যে পদবি অনুযায়ী বণ্টন করে দেওয়া এবং চেইন অব কমান্ড অর্থাৎ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে অধস্তন কর্মচারীর মধ্যে কর্ম-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। যে কোনো কোম্পানির জন্য শৃঙ্খলা বজায় রাখা অতীব জরুরি। অনেক সময় এ বিশৃঙ্খলার রেশ লাগতে পারে গোটা কোম্পানিতে। এ কারণে নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও সাফল্য মূল্যায়ন করতে হবে। শুনতে হবে তাদের অভিযোগ। ব্যবস্থা করতে হবে বিভিন্ন বোনাসের। সবচেয়ে বড় কথা, কর্মী বাছাই থেকে শুরু করে পরিচালনা পর্যন্ত সব জায়গায় দেখাতে হবে দক্ষতার ছাপ। অন্যথায় ভুল কর্মী নিয়োগ করলে কোম্পানির ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। একজন দক্ষকর্মী পারে তার সেরাটা উপহার দিতে। আপন করে নিতে পারে কোম্পানিকে। নিয়োজিত হয় সাফল্য ও অগ্রযাত্রা। এজন্য কোম্পানির সব কর্মকর্তার মাঝে অবশ্যই সমন্বয় থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর