মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ম্যানার্স

এক্সকিউজ মি...

অফিসের কোনো মিটিংয়ে কেউ হঠাৎ হাঁচি দিলে উপস্থিত সবাই বিরক্তিবোধ করেন। হাঁচি বা কাশিকে বাদ দেওয়া যায় না। এগুলো শারীরিক কার্যক্রমেরই অংশ। এ পরিস্থিতি কিভাবে সামলাবেন তা নিয়ে লিখেছেন— শামছুল হক রাসেল

এক্সকিউজ মি...

হাঁচি :  নিজের কাছে রুমাল রাখুন। ♦ হাঁচি দিলে রুমাল দিয়ে মুখটা আড়াল করে নিন।  ♦ হাঁচি সহজে চাপা যায় না, তা অস্বাস্থ্যকরও বটে। তাই হাঁচি দিয়ে ‘এক্সকিউজ মি’ বলবেন অবশ্যই। ♦ অনেকেরই হাঁচি হলে পরপর কয়েকবার হয়। এরকম হলে একটু আড়ালে বা ওয়াশরুমে চলে যান। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসুন। ♦ কোনো ফর্মাল গেট-টুগেদারে একটা হাঁচি কিন্তু ইম্প্রেসন খারাপ করে দেয়। রুমাল বা ন্যাপকিন না থাকলে হাত দিয়ে নাক-মুখটা ঢেকে নিন। ♦ গুরুত্বপূর্ণ কথার মধ্যখানে হাঁচি হলে এক্সকিউজ মি বলুন। ♦ অ্যালার্জি থেকেও অনেক সময় হাঁচি হয়। যে কারণে আপনার হাঁচি হয় সেই পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে অ্যান্টি অ্যালার্জিক ট্যাবলেট সঙ্গে রাখুন। ♦ হাঁচি থেকেও জীবাণু ছড়ায়। অন্য কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেদিকে খেয়াল রাখুন। সঙ্গে রুমাল রাখুন। সর্দি-জ্বর থেকে হাঁচি হলে কারও সঙ্গে কথা বলায় দূরত্ব বজায় রাখুন। কাশি : কাশি হলে অবশ্যই হাত দিয়ে আপনার মুখ ঢেকে নিন। ♦ খাবার টেবিলে কাশি হলে মুখ ঢেকে কেশে নিন। একটু পানি পান করুন, একসঙ্গে অনেক পানি পান করলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। ♦ কাশির লক্ষণ থাকলে ব্যাগে চকলেট বা লজেন্স রাখুন। ♦ কেশে নিয়ে অবশ্যই এক্সকিউজ মি. দুঃখিত বা সরি বলতে ভুলবেন না।  ♦  কাশতে কাশতে কথা বলবেন না।  ♦ অনবরত কাশি হলে টয়লেটে গিয়ে কেশে গলা পরিষ্কার করে নিন।  ♦ এমনভাবে কাশি দেবেন না, যা অন্যের চোখে দৃষ্টিকটু লাগে বা অস্বস্তির কারণ হয়।

হাসি :  ♦ ফর্মাল গেট-টুগেদারে আপনার ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে যতটা প্রয়োজন ততটাই হাসি বজায় রাখুন।  ♦ বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় প্রাণ খুলে হাসুন।  ♦ অফিস বা কাজের জায়গায় পরিস্থিতি অনুযায়ী হাসিকে নিয়ন্ত্রণ করুন।  ♦ কেউ হঠাৎ কোনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়লে (চেয়ার থেকে ধপাস করে পড়ে গেলে বা একটা  আছাড় খেলে) হাসি পেলেও চেপে রাখুন।  ♦ আপনার প্রাণখোলা হাসি যেন অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়। যা করবেন না : নাক টিপে হাঁচি দেবেন না, এটা দৃষ্টিকটু ও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।  ♦ ইচ্ছা করে জোরে শব্দ করে হাসবেন না।  ♦ হাঁচি বা কাশির পর হাত না ধুয়ে অন্য কাজে হাত দেবেন না।  ♦ হাঁচি বা কাশির সময় ব্যবহৃত রুমাল যেখানে-সেখানে রাখবেন না বা অন্য কাউকেও ব্যবহার করতে দেবেন না। ♦ কারও মুখের কাছে হাঁচি বা কাশি দেওয়া উচিত নয়। নিজের মুখ অন্যদিকে ফিরিয়ে একটু আড়াল করে কাশি বা হাঁচি দেওয়া উচিত।  ♦ অবসর সময়ে কাজের জায়গায় বা খুব কাছের আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে হাসির ওপর লাগাম পরাতে যাবেন না। প্রাণ খুলে হাসা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। ♦ কোনো বিয়োগান্তক অনুষ্ঠানে হাসাহাসি করবেন না।  ♦ কারও স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে হাসবেন না। তিনি দুঃখ পাবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর