১৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৬:১৬

বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত সহস্রাধিক শিশু

সিলেট ব্যুরো:

বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত সহস্রাধিক শিশু

ফাইল ছবি

সিলেটের বালাগঞ্জ এবং ওসমানীনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার শিশু প্রাথমিক শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই দুই উপজেলার একাধিক গ্রামে নেই প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে বাড়ছে নিরক্ষরতা, বাড়ছে শিশু শ্রম। অনেক শিশুই জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। 

জানা গেছে, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায় অবহেলিত একাধিক গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। সরকারি নিয়মানুযায়ী দুই হাজার জনসংখ্যার প্রতিটি গ্রামে এবং দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই- এমন গ্রামগুলোতে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের কথা। একটি বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রয়োজন ৩৩ শতাংশ ভূমি। স্কুল না থাকা এসব গ্রামের শিক্ষার্থীরা দূরবর্তী স্থানে স্কুল হওয়ায় এবং গ্রামগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় বিদ্যালয়েও নিয়মিত যেতে পারে না। এ অবস্থায় অনেক শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। তারা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও জড়িত। এদুই উপজেলায় দ্রুত বাড়ছে শিশু শ্রম। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, দুই হাজার জনসংখ্যার বসবাসকারী প্রত্যেকটি গ্রামে এবং দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই এমন গ্রামের সংখ্যা দুই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৯টি। গ্রামগুলো হচ্ছে বালাগঞ্জের দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের খাঁপুর, আলাপুর, সিরাজপুর, ও সুলতানপুর, ওসমানীনগরের সাদিপুর ইউনিয়নের ভট চাতল, বেগমপুর, বেরারাই, লামা গাভুরটিকি, দয়ামীর ইউনিয়নের বড় দিরারাই। তবে, বড় দিরারাই গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন হলেও মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় এর কার্যক্রম বর্তমানে স্থগিত। 

বিদ্যালয়বিহীন এসব গ্রামের একাধিক ব্যক্তিরা জানান, বছরের অধিকাংশ সময় গ্রাম বন্যাক্রান্ত থাকে। বিদ্যালয় দূরবর্তী হওয়ায় শিশুরা প্রতিদিন স্কুলে যেতে আগ্রহী হয় না।

সমাজ কর্মী সাদেকুর রহমান সাদেক বলেন, বালাগঞ্জ ওসমানীনগর দুই উপজেলায় একাধিক গ্রামে বিদ্যালয় না থাকায় কয়েক হাজার কোমলমতি শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে ঝড়ে পরছে। তাছাড়া দূরবর্তী বিদ্যালয় থাকায় অনেক অভিভাবকরা শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাতেও অপারগতা প্রকাশ করেন। যে কারণে দুই উপজেলায় একাধিক বাজারে গেলে দেখা মেলে অনেক শিশু শ্রমিকের।

এ ব্যপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) আব্দুর রকিব ভুঁইয়া বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ক্রমান্বয়ে সবকটি গ্রামেই তা স্থাপন করা হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যালয়বিহীন গ্রামগুলোর বাসিন্দারে নিজ উদ্যোগে বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জমিদান করতে হবে। বিদ্যালয়বিহীন গ্রাম গুলোর তালিকা তৈরি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে যথাযত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

বিডিপ্রতিদিন/ ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর