২০ মার্চ, ২০১৮ ১১:০৩

হজে গিয়েও আতিয়া মহল নিয়ে প্রশ্নের মুখে উস্তার আলী!

সিলেট ব্যুরো:

হজে গিয়েও আতিয়া মহল নিয়ে প্রশ্নের মুখে উস্তার আলী!

সংগৃহীত ছবি

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকায় অবস্থিত ‘আতিয়া মহল’। পাঁচতলা ও চারতলা দুটি ভবনের সমন্বয়ে এ মহল। নিজের স্ত্রীর নামের এই মহল গড়ে তুলেছিলেন উস্তার আলী। সিলেটের গন্ডি পেরিয়ে সেই আতিয়া মহল এখন বিশ্বজুড়ে পরিচিত এক নাম। গেল বছর (২০১৭) জঙ্গিবিরোধী রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর সর্বত্র পরিচিতি পেয়ে যায় আতিয়া মহল।

সেই জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পর আতিয়া মহল নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় উস্তার আলীকে। এমনকি হজ্বে গিয়েও এ মহল নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন তিনি।

আতিয়া মহলে ২০১৭ সালের ২৪ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত অভিযান চলে। সে অভিযানে চার জঙ্গি নিহত হয়। আতিয়া মহলের অদূরে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন সাত জন। বিশ্বজুড়ে আলোচিত সেই অভিযানের বছরপূর্তি হচ্ছে চলতি মাসেই।

সোমবার দুপুরে আতিয়া মহলে গিয়ে কথা হয় ভবনটির মালিক উস্তার আলীর সাথে। তিনি বলেন, ‘অভিযানের পর বিধ্বস্ত অবস্থা হয়েছিল আতিয়া মহলের পাঁচতলা ভবনের। ভবনটিতে ব্যাপক সংস্কার কাজ করাতে হয়েছে। এতে প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে।’

উস্তার আলী আরো বলেন, ‘জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলার পর আতিয়া মহল নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কিছুদিন আগে আমি হজ্বে গিয়েছিলাম। আমার বুকে আতিয়া ট্রাভেলসের ব্যাজ ছিল। এ ব্যাজ দেখেই সৌদি আরবের বিভিন্নজন আমাকে জিজ্ঞেস করতে শুরু করেন, আতিয়া ট্রাভেলসের সাথে আতিয়া মহলের সম্পর্ক আছে কিনা। আতিয়া মহল সম্পর্কে আমি কিছু জানি কিনা এ ধরনের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হই। তারা জানতো না যে, আমিই আতিয়া মহলের মালিক। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে আমি তাদের প্রশ্ন এড়িয়ে যাই তখন।’

উস্তার আলী বলেন, ‘আতিয়া মহলে অভিযান বাংলাদেশে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে চাই, তিনি সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় জঙ্গিরা মারা পড়ে। এরা যদি পালিয়ে যেতো, তবে খুব ক্ষতি হতে পারতো দেশের।’

জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলাকালীন সময়ে উস্তার আলী আতিয়া মহলের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের সাহায্য করেন। আতিয়া মহলের ভাড়াটিয়া কারা, কোন তলায় কয়টি ফ্ল্যাট আছে, ভবনের প্রবেশপথ এসব নানা বিষয় নিয়ে কমান্ডোরা জানতে চাইতেন উস্তার আলীর কাছে।

তিনি বলেন, ‘অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই আমি সার্বক্ষণিক কমান্ডোদের সাথে ছিলাম। তারা নানা বিষয়ে জানতে চাইতেন। আমি তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতাম।’

আতিয়া মহলে জঙ্গিদের আস্তানা নিয়ে আইনী জটিলতায় পড়তে হয়নি উস্তার আলীকে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি সকল কাগজপত্র দেখে, সেগুলোর কপি নিয়ে এবং পুুলিশে জমা দিয়ে ভাড়াটে তুলতাম। কাগজপত্র সব ঠিক থাকায় আইনি জটিলতায় পড়তে হয়নি।’

বিডিপ্রতিদিন/ ২০ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর