২২ মার্চ, ২০১৮ ১৪:৫৭

চালু হল সিসিকের মালিকানায় দৃষ্টিনন্দন 'সুরমা রেস্টহাউস'

সিলেট ব্যুরো

চালু হল সিসিকের মালিকানায় দৃষ্টিনন্দন 'সুরমা রেস্টহাউস'

সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়াতে দৃষ্টিনন্দন রেস্টহাউস নির্মাণ করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। পরীক্ষামূলকভাবে চালুও করা হয়েছে সেটি। নামকরণ করা হয়েছে সিলেট নগরীর বুক চিরে বয়ে যাওয়া নদী ‘সুরমা’-র নামে। দাড়িয়াপাড়া পয়েন্ট সড়কঘেঁষা মেঘনা বি/৩৭ নম্বরে ৮ শতক জায়গায় নির্মিত হয়েছে 'সুরমা রেস্টহাউস'। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

রেস্টহাউসের দায়িত্বে আছেন কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও বিদ্যুৎ শাখার প্রধান মো. রুহুল আলম। তিনি বলেন, পরিবার পরিজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বেড়াতে আসা সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা ব্যবহার করতে পারবেন রেস্টহাউস। তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবও এটি ব্যবহার করতে পারবেন। রেস্টহাউজে রাখা হয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা। এখানে রয়েছে সুসজ্জিত শয়নকক্ষ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, ডিশ সংযোগসহ টিভি, ইন্টারনেট ও নিজস্ব রান্নার ব্যবস্থা।

মো. রুহুল আলম আরও জানান, সরকারি কর্মকর্তার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের প্রতিরাতের জন্য ভাড়া পড়বে ১২০০ টাকা ও সাধারণ রুমে সেটি ৮০০ টাকা। বেসরকারি কর্মকর্তার জন্য এসি রুমের ভাড়া প্রতি রাতের জন্য ১৫০০ টাকা ও সাধারণ রুমে ১০০০ টাকা।

সিসিক সূত্র জানায়, বেদখলে থাকার প্রায় তিনযুগ পর ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট নগরীর ২নং ওয়ার্ডের দুই কোটি টাকার ভূমি উদ্ধার করে সিসিক। এর প্রকৌশল শাখা জানায়, মেঘনা বি/৩৭ নম্বর বাসার ৮ শতক জায়গায় একসময় সিলেট পৌরসভার মালিকানাধীন একটি পুকুর ছিল। এটি ভরাট করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দখলে নেন স্থানীয় হায়দর বখত চৌধুরীসহ কয়েকজন।

জায়গাটি উদ্ধারের জন্য ২০০৭ সালে করপোরেশনের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আযম খান সিলেটের সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলায় বিবাদী করা হয় হায়দর বখত চৌধুরীসহ ৯ জনকে। আদালত ২০১৬ সালের ২২ মে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অনুকূলে রায় ঘোষণা ও ২৯ মে ডিক্রি জারি করেন। এর প্রেক্ষিতে ১৭ আগস্ট অভিযান চালায় সিটি কর্পোরেশন। উদ্ধার করা হয় কোটি টাকা মূল্যমানের এই ভূমি। ওই উদ্ধার করা ভূমিতেই বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছে সুরমা রেস্টহাউস।

উদ্ধারের পর সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব বলেছিলেন, আমরা যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বেদখলে থাকা এই ভূমিটি উদ্ধার করেছি। এখন সেখানে রেস্টহাউস নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/২২ মার্চ, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর