৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১৯:২৫

ভাতিজা অপহরণের মুক্তিপণ নিতে গিয়ে দুই ফুফু গ্রেফতার!

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

ভাতিজা অপহরণের মুক্তিপণ নিতে গিয়ে দুই ফুফু গ্রেফতার!

সিলেটের বিশ্বনাথে ভাতিজাকে অপহরণের পর মুক্তিপণ নেয়ার সময় দুই ফুফুকে হাতেনাতে আটক করেছে থানা পুলিশ। সোমবার দুপুরে উপজেলা শহরের আল-হেরা শপিং সিটির থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে অপহৃত হোসাইন আহমদ (৫) কে উদ্ধার করে পুলিশ। হোসাইন উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সিংরাওলী গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় ইক্বরা একাডেমীর প্লে’র ছাত্র।

আটককৃতরা হল একই গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের মেয়ে ও সিঙ্গেরকাছ পাবলিক বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রাহিমা (১৩), তার আপন বড়বোন একই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী আলিমা (১৬)।

এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে রামপাশা ইউনিয়নের সুলতান খানের ছেলে ফিরোজ খান (২৮) ও শামসুল খান (৩০) কে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইক্বরা একাডেমীতে যায় ছাত্রী রাহিমা। সে চাচাতো ভাই বকুল মিয়ার কথা বলে হোসাইন আহমদকে একাডেমী থেকে নিয়ে আসে। কিছু সময় পর অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন করে বকুলের কাছে হোসাইনকে অপহরণের কথা জানিয়ে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এসময় মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে পরপর দুটি নাম্বার দেয় অপহরণকারীরা। বকুল কথামতো টাকা দেয়ার জন্যে যোগাযোগ করেন। পাশাপাশি থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করেন। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ১ ঘণ্টার মধ্যে অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করে বড়বোন আলিমাসহ রাহিমাকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত শিশু হোসাইনকে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ফিরোজ খান ও শামসুল খানকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

হোসাইনের পিতা বকুল মিয়া বলেন, বেলা ১টার দিকে একাডেমীতে গিয়ে শুনতে পাই ছেলেকে আমার বোনেরা নিয়ে গেছে। এর কিছু সময় পরেই অপরিচিত নাম্বার থেকে তাকে অপহরণের কথা জানিয়ে আমার কাছে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

ইক্বরা একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান বলেন, ফুফু পরিচয় পেয়ে আমরা হোসাইনকে তার সাথে যেতে দিয়েছি। 

সিঙ্গেরকাছ পাবলিক বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন, তুলনামূলক কম মেধাবী আলিমা ও রাহিমা নিয়মিত স্কুলে আসে না। এমনিভাবে তিনদিন ধরে তারা স্কুলে আসছে না। 

আটক ফিরোজ খান ও শামসুল খান বলেন, এই ঘটনার সাথে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

এ ব্যাপারে কথা বলতে রাহিমা ও আলিমাদের পারিবারিক ফোন নাম্বারে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও এর সাথে জড়িত দুই মেয়েকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে একটি মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির দুই এজেন্টকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/৯ এপ্রিল, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর