১০ এপ্রিল, ২০১৮ ২০:৩১
সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে খন্দকার মোশাররফ

'নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে খালেদাকে জেলে পাঠানো হয়েছে'

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

'নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে খালেদাকে জেলে পাঠানো হয়েছে'

‌ছবি: নাজমুল কবীর পাভেল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপিকে বাইরে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না এবং হতে দেয়া হবে না। বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনও মেনে নেয়া হবে না। 

মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের রেজিস্টারি মাঠে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। সমাবেশ উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রেজিস্টারি মাঠে আসেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

ড. মোশাররফ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে। সরকার ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে। সেই সময় জনগনকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিলো। এবার যদি বিএনপি নির্বাচনে যায় তাহলে সরকারের একদলীয় নির্বাচনের উদ্দেশ্য সফল হবে না। তাই বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে খালেদা জিয়াকে জেলে ঢুকানো হয়েছে। এসময় আগামী সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনেরও দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'সরকার জনগণকে ভয় পায়। তাই রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভ আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকারকে ইতোমধ্যে স্বৈরাচারী সরকার হিসেবে অভিহিত করেছে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠি।'  

'ইতিহাস বলে স্বৈরাচার বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। একসময় স্বৈরাচারের পতন হয়। এই সরকারের পতন হবে।'

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলকে যৌক্তিক মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই আন্দোলনে সরকার পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে। বিএনপির ভিশন ২০২০-৩০'তে মুক্তিযোদ্ধা ও নৃতাত্বিকদের কোটা ছাড়া অন্য কোটাগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ থাকা বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি এম ইলিয়াস আলীকে স্মরণ করে তার অভাব অনুভবের কথা নিজের বক্তৃতায় উল্লেখ করেন মোশাররফ।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সম্পাদক আলী আহমদ ও মহানগর সম্পাদক বদরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বেলা ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অংশ নেয়ার কথা থাকলেও মায়ের অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি বলে জানানো হয়।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান খান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ইনাম আহমদ চৌধুরী, ড. এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার মুক্তাদির, বিএনপির উপদেষ্ঠামন্ডলীর সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জীবন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সফু, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, কলিম উদ্দিন মিলন, শফিকুল ইসলাম বাবুল, সহ ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, শাম্মী আখতার, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের শামীম, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আহমদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য নাসের রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, হাদিয়া চৌধুরী মুন্নি, চিত্রনায়ক হেলাল খান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/১০ এপ্রিল, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর