সিলেট নগরীর মিরাবাজার খাঁরপাড়ায় মা ও ছেলে হত্যা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

বুধবার সকাল ১১টায় পিবিআই'র বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিকের নেতৃত্বে একটি দল তদন্ত কাজ শুরু করে। 

তদন্তের প্রথম দিন পিবিআই'র বিশেষ দল নিহত বিউটিশিয়ান রোকেয়া বেগমের খাঁরপাড়াস্থ বাসায় গিয়ে হত্যাকাণ্ডের নানা আলামত জব্দ করেন। এসময় বাসার ভেতর থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক সেবনের নানা সরঞ্জামাদিও উদ্ধার করা হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা রোকেয়ার বাসায় নিয়মিত মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের আসর বসতো। 

পিবিআই'র বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পিবিআই মামলার ছায়া তদন্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে রোকেয়ার বাসায় আশ্রিতা তানিয়া আক্তারকে কুমিল্লা থেকে ও তার স্বামী মামুনকে সিলেট নগরী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তানিয়া ও মামুন উভয়েই আদালতে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া পুলিশ নাজমুল নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। 

এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে আর কেউ জড়িত ছিল কি-না তদন্তে এ বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে জানিয়ে পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, সুষ্ঠুভাবে তদন্ত শেষ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার চার্জশিট দেয়ার চেষ্টা করবে পিবিআই।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল খাঁরপাড়া মিতালি ১৫ নম্বর বাসার নিচতলা থেকে বিউটিশিয়ান রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে রোকনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় বাসার ভেতর থেকে রোকেয়ার পাঁচ বছরের মেয়ে রাইসাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রোকেয়ার ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। 

বিডি প্রতিদিন/১৮ এপ্রিল ২০১৮/আরাফাত