১৬ জুলাই, ২০১৮ ১৯:৪৯

ওসমানী হাসপাতালে কিশোরীকে ধর্ষণ ইন্টার্ন চিকিৎসক কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

ওসমানী হাসপাতালে কিশোরীকে ধর্ষণ ইন্টার্ন চিকিৎসক কারাগারে

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। 

ধর্ষিতা কিশোরী নবম শ্রেণির ছাত্রী। অসুস্থ নানির সাথে রবিবার দিবাগত রাতে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় মাকাম এ মাহমুদ মাহী নামের ইন্টার্ন চিকিৎসক তাকে ধর্ষণ করেন। 

সোমবার দুপুরে মাহীকে পুলিশে দেয়ার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মাহী ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক।

ওই কিশোরীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘ওসমানী হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে অসুস্থ নানির সাথে ছিল আমার মেয়ে। তাদের সাথে আর কেউ ছিল না। রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে ফাইল দেখার কথা বলে তাকে একই ফ্লোরে নিজের কক্ষে ডেকে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে মাকাম এ মাহমুদ মাহী। সকালে আমরা আসার পর মেয়ে ঘটনাটি আমাদেরকে জানায়।’

জানা যায়, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সোমবার সকালে ওই কিশোরীর স্বজন, চিকিৎসক ও পুলিশকে নিয়ে বৈঠকে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে কোন সুরাহা না হওয়ায় অভিযুক্ত মাহীকে পুলিশে দেয়া হয়।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বৈঠকে বসি। সেখানে অভিযোগ অস্বীকার করেন মাহী। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় বেলা দেড়টার দিকে মাহীকে পুলিশের হাতে দেই আমরা। ওই কিশোরীকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ওই ওয়ার্ডের সিসিটিভির ফুটেজও সংগ্রহ করা হচ্ছে।

নগরীর কোতোয়ালী থানার জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর বলেন, আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত মাকাম এ মাহমুদ মাহীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর