মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় রুপনা বিশ্বাস (১৩) ও মনিকা বিশ্বাস (১৪) নামে দুই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল ৪টায় লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুপুরে তারা একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের দেবরবন্দ গ্রামের মৃত হিরেন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে রুপনা বিশ্বাস (১৩) ও তার চাচাতো বোন সুনীল বিশ্বাসের মেয়ে মনিকা বিশ্বাস (১৪) প্রায়ই একসঙ্গে থাকতেন। রুপনা পাঁচগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী ও মনিকা ২০১৭ সালে দশম শ্রেণি থেকে লেখাপড়া ছেড়ে দেন।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে ওই কিশোরীদের মায়েরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে রাজনগর উপজেলা সদরে যান। এসময় তারা বাড়িতেই ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মনিকা বিশ্বাসের ছোট বোন দশম শ্রেণির ছাত্রী কনিকা বিশ্বাস পাঁচগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফিরে ঘরে প্রবেশের সময় সামনের দরজা বন্ধ দেখতে পায়। এসময় সে গোয়াল ঘরের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে দুইজনকে ঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন জড়ো হন। মনিকা ও রুপনা গলায় রশি ও ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বাড়ির লোকজন রশি ও ওড়না কেটে লাশ দুুটি নামায়।
খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আত্মহত্যার আলামত সংগ্রহ করে এবং লাশ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে মনিকা বিশ্বাস ও রুপনা বিশ্বাসের একই সঙ্গে আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তারা কি কারণে আত্মহত্যা করতে পারে এমন তথ্য কেউ দিতে পারছে না। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক জানান, প্রাথমিক পর্যবেক্ষনে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
