শিরোনাম
২৯ আগস্ট, ২০১৮ ০৮:৫৮

মধ্যরাতে বদলে যায় হাকালুকি হাওর, দুর্ভোগে পর্যটকরা

সিলেট ব্যুরো

মধ্যরাতে বদলে যায় হাকালুকি হাওর, দুর্ভোগে পর্যটকরা

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়ন এলাকায় এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি। নানা ব্যক্তি উদ্যোগে দিন দিন এ জিরো পয়েন্ট পর্যটন এলাকা গড়ে উঠেছে। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য রাখা হয়েছে বিলাসবহুল প্রমোদতরীসহ নানা আধুনিক জলযান। মিনি কক্সবাজার খ্যাত এ হাকালুকি হাওর দেশের নানা এলাকায় পর্যটকদের মন জয় করেছে। 

ঈদ, পূজা ছাড়াও বন্ধের দিনও পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে জিরো পয়েন্ট। এ হাওরের অন্যতম আকর্ষণ ও সম্পদ হচ্ছে নানা প্রজাতির মাছ। কিন্তু স্থানীয় কিছু মাছ ব্যবসায়ীদের অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ডে দূষিত হচ্ছে জিরো পয়েন্ট। 

একাধিক পর্যটকরা ফোনের মাধ্যমে জানান ব্যবসায়ীরা নিজ স্বার্থে পর্যটন এলাকার পরিবেশ দূষিত করছে। 

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে রাত যত ঘনিয়ে আসে হাকালুকি হাওরের আশেপাশে বাড়ে ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা। সিলেট শহরসহ আশপাশের মাছ ব্যবসায়ীরা পিকআপ, টেম্পু, লেগুনা গাড়ি নিয়ে জিরো পয়েন্টে আসেন। জেলেরা নৌকা করে মাছ নিয়ে আসেন। পরে কর্মচারীরা এ জিরো পয়েন্টের মাছগুলো বরফে প্রক্রিয়াজাত করেন। এরকম মাছ প্রক্রিয়া চলে ভোর পর্যন্ত। এতেই ঘাটলা এলাকা মাছের দুর্গন্ধে বিষাক্ত হয়ে উঠে। বেড়ে যায় মাছির উৎপাত। সকালে নাক চেপে ঘুরেন পর্যটকরা!

পর্যটকদের সুবিধার জন্য গত কয়েক মাস আগে সিলেট জেলা পরিষদের অর্থায়নে এখানে একটি ঘাটলা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এটি চলে যায় মাছ ব্যবসায়ীদের দখলে। বিভিন্ন এলাকার একাধিক পর্যটকরা অভিযোগ করেন মাছ প্রক্রিয়ার কারণে পচা দুর্গন্ধে নির্মল পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত এ ঘাটলা এলাকার পরিবেশ ঠিক না করলে পর্যটক বিমুখ হতে পারে।

এ ব্যাপারে ঘিলাছড়া ৩নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লেইস চৌধুরী বলেন, যে ভাবেই হোক ও ঘাটলা এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট থেকে আটকাতে হবে। প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/২৯ আগস্ট ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর