১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০৯:০৮

সিলেট আওয়ামী লীগে তোলপাড়!

সিলেট ব্যুরো

সিলেট আওয়ামী লীগে তোলপাড়!

সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ের প্রত্যাশাই ছিল আওয়ামী লীগে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রত্যাশা ব্যর্থতাতেই পর্যবসিত হয়। নির্বাচনের মাসখানেক পরও তাই থামছে না আলোচনা-সমালোচনা। 

সর্বশেষ, সিসিক নির্বাচনে 'বিতর্কিত ভূমিকা' রাখার অভিযোগ এনে আওয়ামী সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজসহ সিলেট আওয়ামী লীগের আরও দুই নেতাকে দেয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ)। একইসাথে মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার এসব নেতাদের কাছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত নোটিশ পাঠানো হয়। 

মিসবাহ সিরাজ ছাড়াও নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।

আওয়ামী লীগের এই নেতাদের নোটিশের বিষয়টি নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। যাদের শোকজ করা হয়েছে তারা প্রকৃতপক্ষেই 'বিতর্কিত ভূমিকা' রেখেছেন কিনা, তারা যদি 'বিতর্কিত ভূমিকা' রেখে থাকেন তবে কেন, এসব নেতারা এখন কী জবাব দেন, জবাবে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড সন্তুষ্ট হয় কিনা, এসব নেতাদের বিরুদ্ধে আর কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয় কিনা-এসব নানা কথা আর প্রশ্ন নিয়ে তোলপাড় চলছে সিলেট আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে।

গত ৩০ জুলাই সিলেট সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রায় ছয় হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। এ নির্বাচনে দলের কয়েকজন নেতা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন আগে সিলেট সফরে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে যান, 'দলের বেইমানদের শাস্তি পেতে হবে।'

তার ওই হুঁশিয়ারির দুই সপ্তাহের মধ্যেই সিলেটের তিন নেতাকে নোটিশ পাঠানো হলো। শোকজ নোটিশে তাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের ৪৭ (চ) ও (থ) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের।

এদিকে, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে তিনটি বিষয় জানতে চেয়েছে দলের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড। সিলেট সিটি নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টিতে কেন দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী নিশ্চিত করা যায়নি, নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ কী এবং সিলেটে দলের কার্যালয় কেন নেই-এ বিষয়গুলো নিয়ে কামরানের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। তাকেও ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, 'কেন্দ্রের পাঠানো চিঠি পেয়েছি। তিনটি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। আমি যথা সময়ে জবাব পাঠাবো।'

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, 'কেন্দ্র থেকে পাঠানো শোকজের চিঠি পেয়েছি। এই শোকজকে আমি ইতিবাচকভাবেই দেখছি। যেহেতু আমি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি, সেহেতু সিলেটে পরাজয়ের কারণ দল আমার কাছে জানতে চাইতেই পারে।'

'যথাসময়ে শোকজের জবাব' দেবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর