১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:৫২

বাঁশের ভেলাই ভরসা তাদের!

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

বাঁশের ভেলাই ভরসা তাদের!

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

নদীতে সেতু নেই। নেই সাঁকোর ব্যবস্থাও। ভেলায় চড়ে কিংবা সাঁতরে পার হতে হয় নদী। নদী পারাপারে গ্রামবাসীর চাঁদায় তৈরি বাঁশের ভেলাই একমাত্র ভরসা তাদের। বর্ষায় পানি বাড়লে পার হওয়ায় উপায় থাকেনা স্রোতের কারণে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের ছয় গ্রামের বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের কিশোরপুর ও খালিশাপাড়া গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা ‘ইটাখলা’ নদী। নদীতে সেতু না থাকায় পারাপারে বাঁশের ভেলা ও গুণ টানা নৌকা ব্যবহার করছেন স্থানীয় দুস্তপুর, গাজীরকুল, বুরহানপুর, উলুকান্দি, কিশোরপুর ও খালিশাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। এক সাইজের ২৬টি বাঁশ সমান করে বসিয়ে বাঁধা হয়েছে অনেক গুলো ছিপ দিয়ে। আর ছিপের মধ্যে প্রায় ৫ ইঞ্চি পরপর শক্ত করে বাঁধা। এতে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের ফালি ও পাটের দড়ি। ভেলার দুই পাশে বাঁধা দীর্ঘ মজবুত পাটের রশি। দুদিকে রশি টেনে ভেলা নিয়ে যাওয়া হয় এপার থেকে ওপারে। নদীতে এ রকম ভেলা দেখা যায় ২টি। অপর পাশে আছে গুণটানা নৌকাও। রশি টেনে নৌকায় পার হতে হয় এপার-ওপার।  

কিশোরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইরন মিয়া জানান, প্রতি বছর গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে আমরা একেকটি বাঁশের ভেলা তৈরি করে নদী পারাপারের কাজে ব্যবহার করে থাকি। ভেলায় করে রশি টানের মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে এপার-ওপার দিনরাত আসা-যাওয়া করি আমরা। এখানে একটি সেতুর অভাবে যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। উপজেলা জুড়ে ব্যাপক পরিমাণে ব্রিজ-কালভার্ট হলেও এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে না আর।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহান মিয়া জানান, মানুষের দুর্ভোগ লাগবে ইতিপূর্বে, ইটাখলা নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু কিছু জটিলতার কারণে সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।

এ বিষয়ে কথা হলে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, বিষয়টি সর্ম্পকে আমি জ্ঞাত নই। খোঁজ নিয়ে জেনে দেখছি। প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থমকে যাওয়ার কারণ তিনিই (স্থানীয় মেম্বার) ভালো বলতে পারবেন।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর