সিলেটে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও শ্রাবণের খরতাপে পুড়ছে সিলেট। রোদে বেরোলেই যেন শরীরে লাগছে আগুনের হলকা, পুড়ছে চামড়া। এ অবস্থায় বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে রিকশাভ্যান চালক বা দিনমজুররা তীব্র গরমে করছেন হাঁসফাঁস।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১টায় সিলেটের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। বিকালে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
দেশে সাধারণত মার্চ-জুন মাসে গরম বেশি থাকে। তবে এবার সিলেটে ফেব্রুয়ারি থেকে তাপ ছড়াতে শুরু করে সূর্য। মে মাসে সিলেটে এক দশকের ভঙ্গ করেছিল তাপমাত্রা। ২৫ মে বিকাল ৩টায় সিলেটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা চলতি বছরের- এমনকি ১০ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এর আগে সিলেটে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রের্কড হয়েছিল।
এ বছর সূর্য তাপ ছড়াতে শুরু করলেই সেলসিয়াস ৩৫-৩৬ ডিগ্রিতে উঠে যায়। ফলে সিলেটে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার বেলা গড়ানোর পর থেকে তীব্র গরমে সিলেটে মানুষের চলাচলও কমে গেছে। বাইরে বেরনো খেটে খাওয়া মানুষরা একটু পর পর পান করছেন পানি, সতেজ রাখতে চেষ্টা করছেন নিজেদের। অনেকেই সড়কের পাশে বিক্রি করা ডাব ও লেবুর শরবত কিনে পান করছেন।
সিলেট মহানগরের তালতলা এলাকায় রিকশা চালাচ্ছিলেন ইকরাম আলী। তিনি বলেন, “ইলা (এই রকম) গরম দিলে রুজি-রোজগার করা যাইত না। ইলা গরমে রিকশা চালাইলে ভিতর ফাটি যায়। গরম বাড়ার লাগি আগের মত ইনকাম নাই। মেঘ (বৃষ্টি) দিলে বালা লাগত, না হয় বাঁচার উপায় নাই আমরার মতো গরিবদের।”
মহানগরের ধোপাদিঘীরপাড়ের বাসিন্দা সুমন মিয়া বলেন, “আজকের গরমে অবস্থা শেষ। রাস্তার গালা (পিচ) যেন গলে যাচ্ছে। এভাবে গরম থাকলে জনজীবনে প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শ্রমজীবীদের অবস্থা বেশি খারাপ হবে। কয়েকদিন ধরে সিলেটে বৃষ্টিও হচ্ছে না।”
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছে- মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সব বিভাগে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে সিলেটসহ তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, সিলেট, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত