বিএনপির কেন্দ্রিয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র প্রধান উপদেষ্টা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত রক্তাক্ত করেছে বিএসএফ। সীমান্তে কোনো ধর্মের নয়, বাংলাদেশি হিসেবেই গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়। ফেলানীর মতো সম্প্রতি কিশোরী স্বর্ণা রানী দাস ও ঠাকুরগাঁওয়ে এক কিশোরকে বিএসএফ নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। ভারত যেন বাংলাদেশিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা ভারতীয় বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত কিশোরী স্বর্ণা দাসের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে খাগটেকা বাজারে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।
রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিবেশী দেশ সীমান্তে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। ফেলানীর কথা এখনো মানুষ ভুলেনি। কিন্তু সরকার কোনো প্রতিবাদ করেনি। বিবৃতি দেয়নি। হাসিনার মাথা ভারতের কাছে নতজানু করে রাখতো। সার্বভৌমত্বের পক্ষে মাথা তুলতো না। এখনতো হাসিনা নেই, জনগণের সরকার ক্ষমতায়। সীমান্তে স্বর্ণা দাসদের নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকার কোনো প্রতিবাদ করেনি কেন সেটা জনগণের প্রশ্ন।’
রিজভী বলেন, ‘৫ আগস্টের বিপ্লবের পর ড. ইউনূছের সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের উপরে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু সীমান্তে হত্যার বিষয়ে আপনারা নির্লিপ্ত কেন? উদাসিন কেন? কিশোরীকে হত্যার বিষয়ে কোনো কথা নেই কেন? এ প্রশ্ন দেশের মানুষের মুখে মুখে।’
দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লুটপাটের সরকারের দোসরদের বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত করছেন। ওরা আপনাদের সফল হতে দেবে না। ওরা নানা চক্রান্ত করে যাচ্ছে। সরকার ব্যর্থ হলে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে।’
রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বার বার দেশ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পারেনি। মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর জেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু তিনি মাথা নত করেননি। সভা শেষে তিনি বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত কিশোরী স্বর্ণা দাসের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।’
বিডি-প্রতিদিন/শআ