নতুন বই হাতে পেয়ে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর মুখে ফুটে উঠে হাসি। খুশিতে মাতোয়ারা হয়ে যায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা। বছরের প্রথম দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। আজ সকালে চট্টগ্রাম নগরের প্রাইমারি ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (পিটিআই) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এমনভাবে বই উৎসব পালন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও নগরের আরও বেশ কয়েকটি স্থানে বই উৎসব পালন করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগরের মতো জেলার উপজেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বই উৎসবের আয়োজন করা হয়। নতুন বই পেয়ে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিল সবাই।
এবছর নগরীর ৬টি থানাসহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানার ৪ হাজার ৭২৫টি প্রাথমিক স্কুলের প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৫১ লাখ ৩৬৬টি পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। একইভাবে মাধ্যমিকে নগরীসহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানার ১ হাজার ১৬৯টি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৯২ শিক্ষার্থীর হাতে ১ কোটি ৮৭ লাখ ২ হাজার ৫৭৫টি পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। গতকাল সকালে বই উৎসবে মেতে ছিল পুরো চট্টগ্রাম। সকালে নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজিয়েট স্কুল ও গরীবে নেওয়াজ উচ্চবিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়।গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আরা বেগম। ডা. খাস্তগীর স্কুলে বই উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড. গোলাম ফারুক। কলেজিয়েট স্কুলের বই উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন মাউশি’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন।
শিপনসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘নতুন বই পাওয়া নিয়ে নিজের মধ্যে একটা কৌতুহল ছিল। তাই খুব ভালো লাগছে। রাত থেকেই বই পাওয়া নিয়ে খুবই কৌতুহলী ছিলাম।’ অভিভাবকরা বলেন, ‘বছরের প্রথম দিনে হাতে নতুন বই পাওয়ার চেয়ে একজন শিক্ষার্থীর কাছে আর বড় প্রাপ্তির কিছু হতে পারে না।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নতুন বই হাতে পেয়ে মাতোয়ারা হয়েছে শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা। এতে আমরাও খুবই আনন্দিত। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়াটা সরকারের অনেক বড় সাফল্য।’ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে আরা বলেন, ‘নতুন বই নিয়ে হাসি মুখে ছাত্র-ছাত্রীদের ঘরে ফিরতে দেখে খুব ভালো লেগেছে। আজকের দিনটা সবার জন্য স্বরণীয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার