১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ২১:০০
পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা

পাহাড় ধসে মৃত্যু ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

পাহাড় ধসে মৃত্যু ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ চাই

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, ‘অতি বর্ষণে পাহাড়ধস ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ চাই। পাহাড় ধসে আর কোনো মৃত্যু আমরা চাই না। দ্রুতই আমি ইফেকটিভ জার্নিতে যাবো। ঝুকিপূর্ণ পাহাড়ে থাকা বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। তাছাড়া ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের যেকোন উপায়ে সরিয়ে নিতে হবে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে অতীতের চেয়ে প্রশাসনের উদ্যোগ কার্যকর করা হবে।’  

বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। সভার শুরুতে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের বর্তমান অবস্থান নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ওমর ফারুক, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন আহমেদ, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লে. ক. মহিউদ্দিন আহমেদ, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদসহ ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেড এবং উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।

সভার শুরুতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা মিলিয়ে ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণভাবে ৬৮৪টি পরিবার বসবাস করছে। এসব পাহাড়ের অধিকাংশের মালিক রেলওয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াসা, গণপূর্ত বিভাগ, সিটি কর্পোরেশন, বনবিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।

বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান বলেন, ‘পাহাড়ের পাদদেশে যারা বাস করছে তারা অবৈধভাবে থাকছে। তারা কোনোভাবে পানি, বিদ্যুৎ বা গ্যাসের বৈধ সংযোগ পেতে পারে না। তারা কিভাবে এসব সংযোগ পাচ্ছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাছাড়া অভিযানে গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। তারপরও কিভাবে তারা পুনরায় এসব সংযোগ পায় তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর নতুন করে আর কেউ যাতে এসব অবৈধ বসবাসকারীরা গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ না পায় সেদিকেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দেয়া হবে।’

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু পরে তারা আবার বসতি করছে। যাদের উচ্ছেদ করা হয় তাদের অধিকাংশই ভাড়াটিয়া। তাই এর স্থায়ী সমাধান দরকার। তবে এসব পাহাড়ে অবৈধভাবে নেওয়া পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা গেলে সমস্যার সমাধান হবে। এর জন্য পাহাড়ের মূল মালিকদের এগিয়ে আসা দরকার। কিন্তু কেউ এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসছে না।’

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর