১৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১৯:২৯

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলা

ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আজ নগরের পাঁচলাইশ থানায় জিইসি মোড় এলাকার ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের পরিচালক মো. রাশেদ মিয়া বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় রনি ছাড়াও নোমান চৌধুরী রাকিবসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে বিবাদী করা হয়।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে একটি এজহার আমরা পেয়েছি। এজহারের সঙ্গে বাদি কিছু ছবি ও একটি ভিডিও ক্লিপ জমা দিয়েছেন। এসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নুরুল আজিম রনি বলেন, ‘অভিযোগকারী তার ব্যবসায়িক পার্টনার ও বন্ধু।  পাওনা টাকা না দিতেই পুরোনো এবং মীমাংসিত বিষয়কে নতুন করে সাজিয়ে তিনি কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। চাঁদা দাবির ঘটনা সঠিক নয়।’

মামলার বিবরণে বলা হয়, ‘গত প্রায় আট বছর যাবত তিনি ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের জিইসি মোড় শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি ও তার অনুসারিরা তার প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতো এবং চাঁদা নিতো। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রনি ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের অফিসে এসে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। 

এসময় রাশেদ এতগুলো টাকা কোথা থেকে দেবে জানতে চাইলে, রনি তাকে মরধর করে। মারধরের প্রায় দুইমাস পর গত ১৩ এপ্রিল সুগন্ধার বাসা থেকে মুরাদপুর যাওয়ার পথে মোহাম্মদপুর মাজার এলাকায় আবারো রনি ও তার সঙ্গিদের আক্রমণের শিকার হন রাশেদ।’ সেই ঘটনার বিবরণ দিয়ে এজাহারে রাশেদ লিখেছেন,‘আসামিগণ আমাকে একা পেয়ে টানা হেঁচড়া করে মুরাদপুর বুড়িপুকুর পাড় এলাকায় নিয়ে যায়। এসময়  তারা আগের মতই ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি বলি, ‘এতগুলো টাকা আমি কেমনে দেব’ বলার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে রনি অফিসে থাকা হকিস্টিক দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় বারি মারলে আমি মাথা সরিয়ে নিলে আঘাতটি আমার বাম কানে লাগে। মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হয়ে আমার বামকানের শ্রবণশক্তি এখন পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এরপর ২ নম্বর আসামি হকিস্টিক দিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকেন। এসময় রনি আমাকে ২০ লক্ষ টাকা না পেলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। 

এ পর্যায়ে অনেক বুঝিয়ে বাসা থেকে ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলি। এসময় ১ নম্বর আসামি বাকি টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আমার এবং আমার স্ত্রীর পাসপোর্ট জমা দিতে বলে। পরে রনির এক সহযোগী আমাকে সুগন্ধার বাসায় নিয়ে আসে। এসময় বাসায় ৩৫ হাজার টাকা পাই এবং সাথে সাথে টাকাগুলো তাদের হাতে তুলে দেই। এর সঙ্গে রনির কথা মেনে আমার ও আমার স্ত্রীর পাসপোর্টও দিলে তারা আমাকে মোটরসাইকেলে করে চট্টগ্রাম কলেজের গেটে ফেলে দিয়ে চলে যায়।’

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩১ মার্চ চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ ছাত্রদের পক্ষে আন্দোলনের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ ড. জাহেদ চৌধুরীকে মারধরের ঘটনায় রনিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয় চকবাজার থানায়।  

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর