২০ এপ্রিল, ২০১৮ ২০:৪৭

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় মায়া হরিণের খাঁচায় এসেছে নতুন অতিথি। শুক্রবার দুপুরে একমাত্র মায়া হরিণী একটি শাবকের জন্ম দেয়। নতুন অতিথি আগমনের মাধ্যমে আগের তিনটিসহ এখন মোট চারটি হলো। বাংলাদেশে সবচেয়ে ছোট জাতের হরিণ হচ্ছে মায়া হরিণ।   

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের একমাত্র এই চিড়িয়াখানায় চিত্রা, সাম্বার এবং মায়াসহ মোট তিন প্রজাতির হরিণ আছে। এর মধ্যে চিত্রা হরিণ চিড়িয়াখানার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আছে। বর্তমানে মোট চিত্রা হরিণ আছে ১২টি। আর দুইটি সাম্বার নারী হরিণ আছে। এগুলো ২০০৫ সালে ডুলহাজরা সাফারি পার্ক থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় সংযোজন করা হয়। ২০১৫ সালের দিকে তিনটি মায়া হরিণ আনা হয় এ চিড়িয়াখানায়। আজকের নতুন শাবকসহ বর্তমানে মায়া হরিণের সংখ্যা হলো চারটি।   

চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘চিড়িয়াখানায় মায়া হরিণ একটি শাবক জন্ম দিয়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমানে মায়া হরিণের সংখ্যা চারটি হলো। তাছাড়া বর্তমানে চিড়িয়াখানায় মায়া হরিণ ছাড়াও আরো দুই প্রজাতির হারিণ আছে।’ তিনি বলেন, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে চিড়িয়াখানায় সংযুক্ত হবে চারটি ক্যাঙ্গারু। ইতোমধ্যে ক্যাঙ্গারু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় স্থান ও হাউস তৈরি করার কাজ চলছে। পাশে তৈরি করা হয়েচে গাইড ওয়ালও।’

চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে আহত অবস্থায় মিরসরাই থেকে এক ব্যক্তি একটি স্ত্রী মায়া হরিণ এনেছিল। আমরা সেটিকে সুস্থ করে আগে থেকে থাকা দুটি পুরুষ মায়া হরিণের খাঁচায় রাখি। এক পর্যায়ে সেটি গর্ভধারণ করে। শুক্রবার দুপুরে একটি শাবক জন্ম দেয়। তবে সেটি পুরুষ না স্ত্রী তা দেখতে প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগবে।’

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক সাধারণ মানুষের বিনোদন, শিশুদের শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য নগরের খুলশিস্থ ফয়েজ লেকের পাশে ৬ একর জমির উপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে সেখানে ৬৭ প্রজাতির সাড়ে তিন শতাধিক পশু-পাখি আছে। শুরুতে চিড়িয়াখানায় প্রবেশমূল্য ছিল এক টাকা। পরে মূল্য বৃদ্ধি করে প্রথমে ২ টাকা থেকে পর্যায়ক্রমে ৩ টাকা, ৪ টাকা এবং ৫ টাকা করা হয়। ২০০৪ সালে ১০ টাকা, ২০১০ সালে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর