২৪ এপ্রিল, ২০১৮ ১৬:৪৯
‘কৃষি ও পল্লী ঋণ সহজীকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা

কৃষকদের সম্মান দিয়ে ঋণ প্রদানের আহবান

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

কৃষকদের সম্মান দিয়ে ঋণ প্রদানের আহবান

ফাইল ছবি

‘কৃষি ও পল্লীঋণ সহজীকরণ উদ্ভাবন’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, ‘কৃষি ও কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি খাতকেও এগিয়ে নিতে কৃষি ও পল্লীঋণ সহজ করতে হবে। কারণ কৃষি ও পল্লীঋণ কৃষকদের অধিকার। ঋণ দেওয়া মানে তাদের প্রতি কোনো দয়া দেখানা নয়। আমরা মনে করি, কৃষকদের জাতীয় বীরের মত সম্মান দেখিয়ে ঋণ দেওয়া উচিত। কেননা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়েই দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হচ্ছে।’

আজ দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার্কিট হাউস মিলনায়তনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শাকিলা রহমান, এটুআই প্রোগ্রামের ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট তাসলিমা ইয়াসমিন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, পল্লী উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বশীল শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কৃষি ও পল্লীঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আজ এখানে নানা ধরণের ইতিবাচক পরামর্শ এসেছে। আগামীতে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে এসব পরামর্শ বিবেচনা করা হবে। আমরাও চাই তৃণমূলের কৃষকরা ঋণ গ্রহণ করে কৃষি কাজকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করুক, স্বাবলম্বী হোক আমাদের দেশ।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর শাকিলা রহমান বলেন, ‘দেশে প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ কৃষকের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ কৃষক কৃষি ও পল্লী ঋণ গ্রহণ করে থাকেন। অবশিষ্ট ৭৫ শতাংশ কৃষকের একটি বড় অংশ কৃষিঋণের আবেদন ও গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার অভাবে সৃষ্টি হয়েছে ভয়। তাছাড়া ব্যাংকারদের অনীহার কারণেও ঋণের আবেদন করেন না অনেকে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আমিনুল হক চৌধুরী বলেন, কৃষকদের ঋণ দিতে হবে সেবার মানসে। কিন্তু এই সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার ঘটনা নিতান্তই কম। তাছাড়া অধিকাংশ কৃষকই ঋণ গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানেন না। পক্ষান্তরে কৃষকদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে আমরা প্রস্তাব করেছিলাম- প্রতিটি ব্যাংকের বাইরে একটি ঘোষণা পত্র লিখে দেওয়া অথবা ব্যাংকের ভেতরে একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার জন্য। কিন্তু বিষয়টি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’      

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর