ঝিমিয়ে পড়া নেতা-কর্মীদের মাঝে চাঙ্গা ভাব তৈরি করতে মেয়াদোত্তীর্ণ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রেলঅঙ্গনে। নতুন কমিটি গঠনের তৎপরতাসহ নানাবিধ দৃশ্যমান কর্মসূচি দেখা যায়নি দীর্ঘদিন ধরেই।
প্রায় ১২ বছর ধরেই কমিটি না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে শাখা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা। করা হয়েছে পাল্টা-পাল্টি বিশেষ সাধারণ সভা ও বর্ধিত সভাও। এতে পক্ষে-বিপক্ষের সর্মথকদের মারধরের পাশাপাশি করা হয়েছে শীর্ষ নেতাদের বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারও।
এসব বিষয় নিয়ে সিরাজুল ইসলামের পক্ষে চট্টগ্রামের সিআরবিসহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ঘোষিত রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কার্যকরি সভাপতি হায়দার আলী সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে আজ সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনেরও আয়োজন করেছে।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়েছে বলে দাবি করে ঘোষিত কমিটির মো. সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঢাকায় সে বর্ধিত সভা করা হয়েছে সেটি অবৈধ। সংগঠনের শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে হাবিবুর রহমান আখন্দকে বহিস্কার ও দুজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষমতা ধরেই রাখতে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি করে আসছে র্দীঘদিন ধরেই। সাধারণ নেতা-কর্মীরা সোচ্ছার হয়ে উঠার পর সেই নেতাদেরও ঘুম ভেঙ্গে যায়। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই কমিটি করা হয়েছে। কেউ সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকলে আগামীকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আগামিতে এ সংগঠনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ে শ্রমিক লীগের প্রধান উপদেষ্টা সিরাজ উল্লাহ বলেন, শ্রম আইন মোতাবেক দুই বছরের বেশি কোনো কমিটির মেয়াদ হয় না। কমিটির অনুমোদন দেয় সম্মেলন। শীঘ্রই সম্মেলন করা হবে।
এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নবগঠিত কমিটির কার্যকরী সভাপতি মো. হায়দার আলী। তবে এ বিষয়ে জান হাবিবুর রহমান আকন্দকে একাধিকবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার