১৯ মে, ২০১৮ ২১:৫৭

চট্টগ্রামে জোরদার অভিযানেও নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন!

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে জোরদার অভিযানেও নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন!

প্রতীকী ছবি

সাধারণত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। কিন্তু চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের মূল্যের ঘোড়দৌঁড় পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যাওয়ায় স্বয়ং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাবিবুর রহমানও বাজারে অভিযান পরিচালন করেন। এর সঙ্গে আছে জেলা প্রশাসনের পাঁচ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়মিত অভিযান। তবুও রমজানকে সামনে রেখে ভোগ্যণ্যের ঘোড়দৌঁড় থামছেই না। প্রতিদিনই বাড়ছে পণ্যের মূল্য। এক  সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি, মুরগি ও মাছ-মাংসে বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছিল ১৮-২০ টাকা,  শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা। গুণ বেড়েছে বেগুণের। ৪০ থেকে ৫০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ৫০ টাকার কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। ফার্মের প্রতিকেজি মুরগি বিক্রি হতো ১২৫-১৩০ টাকা, গতকাল বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা। ২৮০ টাকার সোনালি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকা। ৪০ টাকার শসা ৬০ টাকা। ৩০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এভাবে প্রতিটি নিত্যভোগ্য পণ্যের দামে আগুন ছড়াচ্ছে। রমজান আসলে দাম বৃদ্ধির প্রবণতা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়।     

ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রশাসন কেবল রমজান আসলেই সচেতন হয়, অভিযান  বাড়ে। সারাবছরই বাজার তদারকি প্রয়োজন। তাছাড়া অভিযানে যদি কিছু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যেত তাহলে পাশের ব্যবসায়ী সতর্ক ও সচেতন হতো। কিন্তু বর্তমানে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়ায় তারা উল্টো বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে, বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকলে পণ্যের মূল্য টিক থাকে। কিন্তু অভিযান দল চলে যাওয়ার পর ফের দাম বৃদ্ধি পায়।  

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনের নানা উদ্যোগ, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযান এবং শাস্তির ব্যবস্থা সবই ঠিক। কিন্তু এর আগেই ব্যবসায়ী নিজেকেই নিজে শুধরিয়ে নেওয়া উচিত। আইন করে শাস্তি দিয়ে সব কিছু হয় না। মানুষ হিসাবে নিজের মধ্যেই কিছু জাগরণ থাকতে হয়। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে।’

ক্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘অভিযান তো নিয়মিতই হয়। তবুও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না। তাই আমরা মনে করি, যদি দৃষ্টান্তমূলক কিছু শাস্তি দেওয়া হতো, তাহলে হয়তো এর প্রভাব বাজারে পড়ত। তবে কেবল খুচরা বাজার নয়, কঠোর তদারকি করতে হবে আড়তদার, বড় পাইকারি ব্যবসায়ীদের। ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে এদেরই কারসাজি বেশি।’

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর