মাত্র আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিটের বৃষ্টিপাতে নগরীর বেশকিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। নগরীর উঁচু এলাকা হিসেবে পরিচিত জামালখানেও হাঁটুপানি জমেছে। আজ দুপুরে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিপাতের কারণে দুর্ভোগে পড়ে নগরীর লক্ষ লক্ষ মানুষ। বিশেষ করে আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, সিডিএ আবাসিক, হালিশহর, বাকলিয়া, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, প্রবর্ত্তক মোড়, মুরাদপুরসহ নগরের নিম্নাঞ্চলেও জলজটের সৃষ্টি হয় এ সময়। এতে দুর্ভোগে পড়েন ছোট যানবাহনের আরোহী ও সাধারণ পথচারীরা। দুই থেকে তিন ঘণ্টার এই জলাবদ্ধতায় নগীরর বেশকিছু স্থানে তীব্র যানজটেরও সৃষ্টি হয়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, আজ রবিবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত পতেঙ্গায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৭ মিলিমিটার। সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে জোয়ার এসেছিল। সেই জোয়ার বৃষ্টিপাত যখন হচ্ছিল, তখনও ছিল। ফলে বৃষ্টির পানি দ্রুত নামতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান বলেন, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের বেহাল দশার কারণে এই এলাকার মানুষগুলো এবং প্রতিদিন ব্যবসায়ীক কারণে আসা ভাসমান পথচারীরা সীমাহীন দুর্ভোগ সহ্য করছে। তার ওপর আগাম বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে এই দুর্ভোগে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠেছে। অপেক্ষাকৃত নিমাঞ্চল হওয়ার কারণে এখানে জলাবদ্ধতা বেশি সময় ধরে থাকে। ফলে আমাদের কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বেশি।বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার