১৯ জুন, ২০১৮ ২০:১৩

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চারদিনে ৫৮ হাজার দর্শক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চারদিনে ৫৮ হাজার দর্শক

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক পরিবেশ। বৈচিত্রময় পশুপাখির সমাহার। সবুজ প্রকৃতির সতেজ-নির্মল আবহ। পরিচ্ছন্ন সুপরিসর নান্দনিক অবয়ব এবং পরিপাটিসহ নানা বৈশিষ্ট্যে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা এখন বিনোদনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসাবে পরিণত হয়েছে। ফলে ঈদের চারদিনে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেছে প্রায় ৫৮ হাজার দর্শনার্থী। দর্শকদের কাছে টিকিট বিক্রি করে চিড়িয়াখানার আয় হয়েছে প্রায় ২৯ লাখ টাকা।

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষ্যে এই বিনোদন কেন্দ্রে ঈদের দিন দুপুর থেকেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে গত তিন বছর ধরে এখানে দৃশ্যমান পরিবর্তনের কারণে এটি দর্শকদের কাছে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরের একমাত্র এই চিড়িয়াখানায় গত তিনবছরে টিকিট বিক্রির অর্থে সম্পন্ন করা হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ। যোগ হয়েছে দু’টি বাঘ, একটি সিংহ ও ৪৮ লাখ টাকায় ছয়টি জেব্রা। আছে চিত্রা, সাম্বার এবং মায়াসহ মোট তিন প্রজাতির ১২টি হরিণ। বৈচিত্রময় পশুপাখি যোগ হওয়ায় দর্শকদের আগ্রহ অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘বাস্তবতা হলো প্রতিনিয়তই মানুষের মুক্তাঙ্গন ও কোলাহল মুক্ত স্থানে সময় কাটানোর আঙ্গিনা কমছে। তাই মানুষ সময়-সুযোগ পেলেই চিড়িয়াখানার মত মুক্ত আঙ্গিনায় ছুটে আসছে। ঈদের ছুটিতেও মানুষদের সরব উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। আমরা চাই সাধারণ মানুষ হাতগুণা টাকায় একটু নিজের মত করে সময় কাটাক।’  

জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মানুষের বিনোদন, শিশুদের শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য নগরের খুলশিস্থ ফয়েজ লেকের পাশে ৬ একর জমির উপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে সেখানে ৬৭ প্রজাতির সাড়ে তিন শতাধিক পশু-পাখি আছে। চিড়িয়াখানার টিকিট বিক্রির টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে সীমানা প্রাচীর, পশুদের জন্য দেওয়া হয় খাঁচা, আবর্জনার ভাগাড়কে করা হয়েছে নান্দনিক বৈঠকখানা, তিতিরপাখিকে দেওয়া হয়েছে পৃথক ঘর, লাগানো হয়েছে এক হাজার ফলজ বৃক্ষ। বানানো হয়েছে সিঁড়ি, নির্মিত হয়েছে প্রধান ফটক। চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ৩২ হাজার ১৬৪ বর্গফুট রাস্তা। নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। বাচ্চাদের জন্য করা হয়েছে ‘কিডস জোন’। পশুর সুরক্ষায় নির্মিত হয়েছে নিরাপত্তা দেয়াল। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে পরিচ্ছন্ন শৌচাগার। প্রাণীখাদ্য সংরক্ষণে নির্মাণ করা হয়েছে স্টোর রুম, কোয়ারেন্টাইন রুম এবং অপারেশন থিয়েটারসহ আধুনিক প্রাণী হাসপাতাল।


বিডি প্রতিদিন/১৯ জুন ২০১৮/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর