২৪ জুন, ২০১৮ ১৯:১৪

জামায়াতের ২১০ নেতা কর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জামায়াতের ২১০ নেতা কর্মী কারাগারে

চট্টগ্রাম নগরীর পর্যটন করপোরেশনের সৈকত মোটেল থেকে জামায়াতের নায়েবে আমির ও ছাত্রশিবির মহানগর দক্ষিণের সভাপতিসহ ২১০ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, ছাত্রশিবির মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল হাসান লদি, সেক্রেটারি ইমরানুল হকসহ কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা আছে। রবিবার দুপুরে তাদেরকে কোতোয়ালী থানা হাজত থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।

আদালত সূত্র জানায়, ২১০ জন আসামির একটি তালিকা কোতোয়ালী থানা থেকে আদালত পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। এরপর কয়েকটি থানার জিআরও এবং তাদের সহযোগিরা মিলে ২১০ জনের হাজতি পরোয়ানা তৈরীর কাজ শুরু করেন। পরে সেখানে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান স্বাক্ষর করেন। এরপর কোর্ট রেজিস্ট্রারে আসামিদের তথ্য লিপিবদ্ধ করার জন্য আদালত সংশ্লিষ্টরা কারাগারে যান। ২১০ জনকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলেও রবিাবর বিকেল পর্যন্ত এজাহারের কপি আদালতে পাঠায়নি কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

এর আগে শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোটেল সৈকতে অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়েছিল। এ ঘটনায় রবিবার সকালে কোতোয়ালী থানার উপ পরিদর্শক গোলাম ফারুক বাদী হয়ে ২১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০জনকে আসামি করা হয়।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ২১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ‘পারাবার’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের নামে তারা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। এ জন্য পুলিশের কাছ থেকে তারা অনুমতি নেয়নি।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, রবিবার সকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় আটক ২১০ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, রফিকুল হাসান লদি সিলেটের বাসিন্দা হলেও সাংগঠনিক দায়িত্ব নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছেন।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর