১৭ আগস্ট, ২০১৮ ২০:৪৫

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হচ্ছে ‘মিনি এভিয়ারি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হচ্ছে ‘মিনি এভিয়ারি’

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এবার নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। সমৃদ্ধ হচ্ছে চট্টগ্রামের একমাত্র চিড়িয়াখানাটি। ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ন্যাচারাল মিনি এভিয়ারি (ছোট পক্ষীশালা)। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ ও পাখি কেনার প্রক্রিয়া  শুরু হয়েছে। আগামী মাসের মাঝামাঝিতে এই পক্ষীশালা উদ্বোধন করার পরিকল্পনা আছে। চট্টগ্রামের জেলা জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেনের পরিকল্পনায় চিড়িয়াখানার নিজস্ব তহবিল থেকেই এই পক্ষীশালা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা যায়।   

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, পক্ষীশালা নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪  লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০ লাখ টাকায় অবকাঠামো নির্মাণ এবং দেশি-বিদেশি  পাখি ক্রয়ের ব্যয় ধরা হয়েচে ১৪ লাখ টাকা। ৬  প্রজাতির ৩০০ পাখি নিয়ে শুরু হবে এই এভিয়ারি। এর মধ্যে লাভ বার্ড ২০ জোড়া, লাফিং ডাভ ৫০ জোড়া, ফিজেন্ট ১০ জোড়া, রিংনেড পেরোট ১০  জোড়া, কোকাটেইল ৫০ জোড়া, ম্যাকাও এক জোড়া। এভিয়ারির আয়তন হবে দৈর্ঘ্যে ৬০ ফুট আর প্রস্থে ২৫ ফুট।   

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ‘চিড়িয়াখানায় টিকিট বিক্রির ৩৪ লাখ টাকা দিয়ে মিনি এভিয়ারি তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় এভিয়ারি উদ্বোধন করবেন। এরপর  চিড়িয়াখানায় যোগ হবে ক্যাঙ্গারু। আমরা চাই, চিড়িয়াখানাটি চট্টগ্রামের মানুষদের অন্যতম নান্দনিক একটি প্রাকৃতিক বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হোক।’ 

তিনি বলেন, ‘চিড়িয়াখানায় গত তিনবছরে টিকিট বিক্রির অর্থে সম্পন্ন করা হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ। যোগ হয়েছে দু’টি বাঘ, একটি সিংহ, ছয়টি জেব্রা। আছে চিত্রা, সাম্বার এবং মায়াসহ মোট তিন প্রজাতির ১২টি হরিণ। বৈচিত্রময় পশুপাখি যোগ হওয়ায় দর্শকদের আগ্রহ অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক  মানুষের বিনোদন, শিশুদের শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য নগরের খুলশিস্থ ফয়েজ লেকের পাশে ৬ একর জমির উপর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা করেন।  বর্তমানে সেখানে ৬৭ প্রজাতির সাড়ে তিন শতাধিক পশু-পাখি আছে।  চিড়িয়াখানার টিকিট বিক্রির টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে সীমানা প্রাচীর, পশুদের জন্য দেওয়া হয় খাঁচা, আবর্জনার ভাগাড়কে করা হয়েছে নান্দনিক বৈঠকখানা, তিতিরপাখিকে দেওয়া হয়েছে পৃথক ঘর, লাগানো হয়েছে এক হাজার ফলজ  বৃক্ষ। বানানো হয়েছে সিঁড়ি, নির্মিত হয়েছে প্রধান ফটক। 

চিড়িয়াখানার  অভ্যন্তরে ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ৩২ হাজার ১৬৪ বর্গফুট রাস্তা।  নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। বাচ্চাদের জন্য করা হয়েছে ‘কিডস জোন’। পশুর সুরক্ষায় নির্মিত হয়েছে নিরাপত্তা দেয়াল। দর্শনার্থীদের জন্য  রয়েছে পরিচ্ছন্ন শৌচাগার। প্রাণীখাদ্য সংরক্ষণে নির্মাণ করা হয়েছে স্টোর রুম, কোয়ারেন্টাইন রুম এবং অপারেশন থিয়েটারসহ আধুনিক প্রাণী হাসপাতাল।


বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর