১৯ আগস্ট, ২০১৮ ১৮:০৪
পুরোদমে চলছে বিক্রি

চট্টগ্রামে কোরবানির পর্যাপ্ত পশু বাজারে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে কোরবানির পর্যাপ্ত পশু বাজারে

ছবিঃ দিদারুল আলম।

চট্টগ্রামে কোরবানির বাজারে এখন পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু আছে। বাজারে কোরবানির পশুরু কোনো ঘাটতি নেই। স্থানীয় উৎপাদন এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রাণিতেই চাহিদা পূরণ হচ্ছে। স্থায়ী-অস্থায়ী বাজারসমূহে এখন পুরোদমে শুরু হয়েছে পশু বিক্রয়। দামও ক্রেতার হাতের নাগালে বলে জানা যায়।   

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই বছর ঈদুল আজহায় চট্টগ্রাম জেলায় ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪টি প্রাণি কোরবানি হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।  স্থানীয়ভাবে ৫ লাখ ৮১ হাজার  ৬৩৪টি প্রাণী উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪ লাখ ৩৮ হাজার  ৪২৪টি এবং ছাগল-ভেড়া উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৮১৯টি। দেশের  বিভিন্ন জেলা থেকে আরও প্রায় এক লাখেরও বেশি প্রাণী বাজারে আসবে।  

গতবছর চট্টগ্রামে মোট কোরবানি দেওয়া হয়েছিল ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩১টি প্রাণী। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত প্রাণী ৪ লাখ ৮৯ হাজার। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৭টি এবং ছাগল-ভেড়া এক লাখ ৮২ হাজার ৪৪১টি। চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলা ও নগর এলাকায় স্থায়ী-অস্থায়ী ১৯৭টি পশুর হাট আছে। এর মধ্যে স্থায়ী ৫৮টি ও অস্থায়ী ১৩৯টি।  

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রিয়াজুল হক বলেন, ‘ঈদুল আজহা  উপলক্ষে চট্টগ্রামে পশুর কোনো ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু এখন বাজারে  আছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পশু মজুদ আছে।’ তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলায় ১৯৭টি পশুর হাটে জরুরি সেবা দিতে ৮২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে। প্রতিটি টিমে তিন থেকে সাতজন সদস্য থাকবেন। স্থায়ী বড় বাজারগুলোতে সার্বক্ষণিক একাধিক টিম থাকবে। প্রত্যেক উপজেলায় প্রতিটি বাজারে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। তাছাড়া চট্টগ্রাম নগরের খুলশীতে জেলা প্রাণীসম্পদ অফিসেও একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।’

সরেজমিন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসায় এখন দেখাদেখির পর্ব শেষ। তাই ক্রেতারা এখন পশু কেনা শুরু করেছে। বাজারও কোরবানীর পশুতে ভরপুর। স্থানীয় উৎপাদন এবং বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে প্রচুর সংখ্যক পশু। কার্যত আজ এবং আগামীকালই কোরবানির পশু কেনার মোক্ষম সময়। বাজারে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি এবং দামও বেশি।

কর্ণফুলী গরু বাজারের ইজাদার মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ‘এই বাজারে প্রায় ৩০ হাজার পশু এসেছে। বাজারে পশুর কোনো কমতি নেই। ক্রেতা বিক্রেতারা ভাল পরিবেশ এবং পছন্দ মত মূল্যে পশু ক্রয় করতে পারছেন।’

পশু বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার চট্টগ্রামের বাজারে যশোর, কুষ্টিয়া, পাবনা, নাটোর, চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগা, নরসিংদী, দিনাজপুর ও সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু ইতোমধ্যে এসেছে। মহাসড়কে যানজট, ফেরি সমস্যাসহ নানা কারণে এখনো অনেক পশুবাহী ট্রাক পথে আছে। তাছাড়া চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, চকরিয়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, নাজিরহাট, হাটহাজারি, ফটিকছড়ি, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া থেকেও নগরীর বাজারগুলোতে পশু এসেছে।

কর্ণফুলী বাজারে কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা বেপারি মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ বলেন, ‘প্রায় সাত লাখ টাকার গরু নিয়ে চট্টগ্রামের বাজারে এসেছি। বড় আকারের গরুই আমি এনেছি। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গরু আসায় পশুর কোনো সংকট হবে না।’

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর