১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৯:৪৪
ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রামে উন্নয়ন হবে সমন্বয়ের মাধ্যমে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে উন্নয়ন হবে সমন্বয়ের মাধ্যমে

চট্টগ্রামের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে সমন্বয়ের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এবং আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

সোমবার দুপুরে চসিকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। এসময় বক্তব্য রাখেন চসিকের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং চউকের চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালাম, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।    

গত ১৪ সেপ্টেম্বর নগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। বিষয়টি নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চসিক মেয়র ও চউকের চেয়ারম্যানকে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন। এর অংশ হিসাবে এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।   

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘সিডিএ ও সিটি কর্পোশনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মধ্যে কোনো তর্ক-বিতর্ক নেই। দুই সংস্থাই চট্টগ্রামের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই। চট্টগ্রামবাসীকে বসবাসের একটি ভালো পরিবেশ দিতে চাই। তাই সকল সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেই উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। উন্নয়নের সুফল ঘরে তুলতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই।’ 

তিনি অারও বলেন,  ‘সামনে নির্বাচন, ‘আমাদের কঠিন পরীক্ষা। অস্তিত্বের লড়াইয়ে আমাদের মাঠে নামতে হবে। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিতরা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটাতে চাইছে। কিন্তু এখন আর তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হবে না।’

চউকের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘সিডিএ চেয়ারম্যান হতে বিসিএস পরীক্ষা বা নিজের যোগ্যতা দিয়ে চেয়ারম্যান হইনি। শুধু আওয়ামী লীগ কর্মী বলেই চেয়ারম্যান হয়েছি, দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের অঙ্গীকারের মধ্যে সব কাজই শেষ করতে পেরেছি। কিছু কিছু কাজ এখনো চলমান। বর্তমানে চট্টগ্রামে ৫০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। তবে এসব কাজ চলাকালীন জনগণের দুর্ভোগ কীভাবে কমানো যায় সেটিও ভাবছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আজকের সভায় প্রথম বার্তা হলো- চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল জনগণকে পৌঁছে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া। দ্বিতীয় বার্তা হলো- প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহার পূরণে চসিক, সিডিএ, চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় থাকা। এসব সংস্থার মাধ্যমে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান। এর সঙ্গে আছে কর্ণফুলী টানেল। টানেল নির্মাণের পর এই চট্টগ্রাম ৫০ বছর এগিয়ে যাবে।’  

মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জনগণের সরকার। কাজ ছাড়া অন্য কিছুকে বিশ্বাস করি না। নগরে সিটি মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। উন্নয়ন করতে গিয়ে জনগণের যদি কষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে আপনাদের দায়বদ্ধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আপনাদের হুঁশিয়ার করছি, জনগণের উন্নয়নে জনগণ যেন কষ্ট না পায়। আপনাদের দু’জনকে বিশেষ ভাবে বলছি, যদি সমন্বয়ের অভাব থাকে আমাদের বলুন। যে কোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কিন্তু জনগণের যাতে কষ্ট না হয় সে বিষয়টি আপনাদের দেখতে হবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, অ্যাড. সুনীল সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমাল আল মাহমুদ, হাসান মাহমুদ হাসনী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর