২১ অক্টোবর, ২০১৮ ১৯:১৪

হালদা নদীতে মৎস্য শিকার, অভিযানেও ঠেকানো যাচ্ছে না

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম:

হালদা নদীতে মৎস্য শিকার, অভিযানেও ঠেকানো যাচ্ছে না

ফাইল ছবি

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রতিনিয়তই কৌশল করে গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু রাতের অভিযানেও ঠেকানো যাচ্ছে না মাছ শিকারিদের। প্রতি অভিযানে আটক করা হচ্ছে মাছ শিকারের জাল। সর্বশেষ গত শনিবার গভীর রাতেও পরিচালিত অভিযানে দুই হাজার ৫০০ মিটার জাল আটক করা হয়। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ রুহুল আমীন এ অভিযান পরিচালনা করছেন।          

জানা যায়, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত হাটহাজারী উপজেলার হালদা নদীর ছিপাতলী ও মেখল ইউনিয়ন অংশে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে হালদা নদীতে মাছ শিকারে বসানো দুই হাজার ৫০০ মিটার জাল উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযান দল দেখে জাল ফেলে মাছ শিকারিরা পালিয়ে যায়। এর আগে গত বুধবার রাত ২টায় হালদা নদীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নের স্লুইস গেইট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুই হাজার মিটার ঘেরা জাল এবং প্রায় ২০টি মা মাছ উদ্ধার করা হয়।   

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘অভিযানের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে দিনের বেলায় মাছ শিকার বন্ধ হয়েছে। তারা কৌশল হিসাবে রাতেই জাল ফেলে মাছ শিকার করছে। তাই গত কিছু দিন ধরে আমরা গভীর রাতেই অভিযান পরিচালনা করছি। প্রতি অভিযানেই জাল আটক করা হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ 

তিনি বলেন, ‘যারা হালদা নদী থেকে রাতের অন্ধকারে মাছ শিকার করছে, তাদের বুঝা উচিত, এই মাছগুলো বড় হয়ে ডিম ছাড়লে তারাই এগুলো আহরণ করবে। কিন্তু এখন শিকার করার কারণে মা মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিষয়টা তাদের বুঝা উচিত।’

জানা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা  হালদা নদীতে ধারাবাহিকভাবেই অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। ইতোমধ্যে পরিচালিত অভিযানে প্রায় ১৩ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়ানো, চারটি ড্রেজার জব্দ করে ধ্বংস করা, ৮০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একজনকে এক মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।    

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর