৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:০৫

চট্টগ্রামে শতাধিক তরুন-তরুনীর সঙ্গে সমরেশ মজুমদারের আড্ডা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে শতাধিক তরুন-তরুনীর সঙ্গে সমরেশ মজুমদারের আড্ডা

ছবি: দিদারুল আলম।

চট্টগ্রামে শত শত তরুণ-তরুনীর সাথে আড্ডায় মেতে উঠলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। আড্ডাকালে তিনি বাংলাদেশের জাগরণ নিয়ে লিখার ইচ্ছা পোষন করেন। শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত আড্ডায় নিজের এ ইচ্ছার কথা জানান জনপ্রিয় এ লেখক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি ও সংগ্রাম নিয়ে অনেকেই লিখেছেন। কিন্তু এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন শুরু হয়েছে ১৯৪৭ সালের আগস্ট থেকে। ভাষা আন্দোলন ও শেখ মুজিবের আন্দোলন মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে। এর বাইরে আরেকটা জাগরণ আমি দেখতে পাই। ওই জাগরণ নিয়ে লেখার ইচ্ছা রয়েছে। এছাড়া একাত্তর থেকে বাংলাদেশের যে পরিবর্তন শুরু হলো তা নিয়ে একটি উপন্যাসও লেখার ইচ্ছা রয়েছে।

কবিতা মেয়েরা খুব পছন্দ করে উল্লেখ করে সমরেশ বলেন, কবিতা লিখার ক্ষমতা অর্জন করতে হয়। তাই জীবনানন্দ বলেছিলেন, সকলে কবিতা লেখে, কেউ কেউ কবি। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কবিতা লিখতে পারিনি। তাই গদ্য লিখেছি।

জনপ্রিয় এ লেখককে বিরামহীন লেখার রসদ যোগায় রবীন্দ্রনাথ এ কথা জানিয়ে বলেন, রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গানগুলো আমার কাছে মন্ত্রের মতো। ঈশ্বরের সাথে আমার যোগাযোগ নেই। কিন্তু আমার মনে দুঃখ পেলেই আমি রবীন্দ্রনাথের গান শুনি। আমার মন ভালো হলেও রবীন্দ্রনাথের গান শুনি, মন আরও ভালো হয়ে যায়।

আরেক জনপ্রিয় লেখক হুমায়ন আহমেদের সাথে রসায়ন বিষয়ে সমরেশ মজুমদার বলেন, ঢাকায় আসলে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কথা হতো। সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত একটা পর্যন্ত আড্ডা চলতো। তার বাসায়, নুহাশ পল্লীতে, আমেরিকার বিভিন্ন শহরে আমরা কথার পর কথাই বলে গেছি। সে প্রায়ই বলতো, সমরেশ দা-যে মানুষ ১৫ থেকে ১৬ তে পা দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ পড়েনি সে পাঠক না। আর যে ২৫ এ পড়ার পর হুমায়ূন আহমেদ পড়ে-সে পাঠক না। এটা বলার ক্ষমতা সব লেখকের হয় না।

আলাপচারিতায় সঞ্চালক ছিলেন কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বাতিঘরের সত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ।

 


বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত‌ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর