১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২০:১০

চট্টগ্রামে ‘শিশু চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র’র যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ‘শিশু চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র’র যাত্রা

অরবিস ইন্টারন্যাশনালের উদ্যাগে শিশুদের উন্নত চক্ষুসেবা দেয়ার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে আরো একটি ‘শিশু বান্ধব চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র’ র যাত্রা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালে এ সেবা কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয়। 

কাতার ফান্ড ফর ডেভেলমেন্টের আর্থিক সহায়তায় ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় চক্ষু সেবা কেন্দ্রটি পরিচালনা করবে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতাল।   

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বব র‌্যাঙ্ক। উপস্থিত ছিলেন বায়তুশ শরফ হাসাপাতালের সাধারণ সম্পাদক এমএম সিরাজুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নুরুল আলম, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনীর আহমেদ, ডিরেক্টর অব প্রোগ্রামস মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. ইকবাল হোসেন, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. পারভেজ হোসেন ও নীলুফা ইয়াসমিন প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে বব র‌্যাঙ্ক বলেন, এখন থেকে কক্সবাজারের শিশুরা এই শিশু চক্ষু চিকিৎসা বিভাগের মাধ্যমে সহজে ও কম খরচে চোখের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারবে। বিশেষ করে যারা কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম যেতে পারেন না, তারা এই কেন্দ্র থেকে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা পাবেন।’

ডা. মুনীর আহমেদ বলেন, অরবিস ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে। সেই থেকে এদেশের চক্ষু সেবার মান উন্নয়নে বিশেষ করে শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। বায়তুশ শরফ হাসপাতালে এটি হলো ১৩তম শিশু বান্ধব চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের শিশুদের অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা সহজ হবে।’  

প্রসঙ্গত, ‘কাতার ফান্ড ফর ডেভেলমেন্ট এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ এর মাধ্যমে ‘কাতার ক্রিয়েটিং ভিশন (কিউসিভি) এক্সপান্ডিং আই কেয়ার ইন সাউথ ইস্ট বাংলাদেশ’ প্রকল্পটি এ পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কের চক্ষু পরীক্ষার পাশাপাশি, ওষুধ ও চশমা বিতরণসহ চোখের অপারেশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কর্মীদের চোখের স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে। এ প্রকল্পের আওতায়, অদূর ভবিষ্যতে শরণার্থী ক্যাম্প ছাড়া স্থানীয় জনগণের চক্ষু সেবায় মোবাইল ইউনিটের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পের শিশু ও নারীদের চক্ষু পরীক্ষা করা হবে। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর