১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৯:৪০

সন্ধ্যা নামলেই ঢল নামে চট্টগ্রামের বইমেলায়

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম:

সন্ধ্যা নামলেই ঢল নামে চট্টগ্রামের বইমেলায়

৮০ হাজার বর্গফুটের আয়তন। নেই ধুলোবালির উত্তাপ। সুশৃঙ্খল একটি পরিবেশ। পরিপাটি বুক স্টল। প্রতিটি স্টলে থরে থরে সাজানো আছে বই। প্রকাশকদের বই বাছাইয়ে আছে বৈচিত্র। তথ্য সমৃদ্ধ বই আকৃষ্ট করছে পাঠকদের। বিক্রিও হচ্ছে আশানুরূপ। ফলে পড়ন্ত বিকালে সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলার সঙ্গে সঙ্গেই সরব হয়ে উঠছে প্রাণের বই মেলা। সন্ধ্যা নামলেই ঢল নামে পাঠক-দর্শকের।       

চট্টগ্রাম নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে প্রথমবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশকদের অংশগ্রহণে হচ্ছে সম্মিলিত বইমেলা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) আয়োজন এবং চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ ও সাহিত্যিক-শিল্প সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।          

চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও বই মেলা কমিটির সদস্য সচিব সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই মেলায় পাঠক-দর্শকের অভূতপূর্ব সাড়া দেখা যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকেই দর্শকের সরব উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। মেলায় বৈচিত্র সম্পন্ন বই, পরিপাটি ও শৃঙ্খলিত পরিবেশে দর্শকরা পছন্দের বই সংগ্রহ করতে পারছেন। ফলে প্রথমবারের আয়োজনে আমরা সফলই বলতে পারি।’  মেলা আয়োজক পরিষদের সমন্বয়কারী আশেকে রসুল টিপু বলেন, ‘শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত ৬০টি বই মেলায় এসেছে। তাছাড়া বিক্রিও হচ্ছে আশানুরূপ। মেলাকে আরো আকর্ষণীয় করতে আগামীবার বাংলা একাডেমি ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।’    

শুক্রবার বিকালে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি স্টলের সামনে ভিড় করছেন বইপ্রেমী পাঠকরা। পাঠকের শ্রেণীতে কেবল বয়স্করা নন, শিশু কিশোররাও আছে। তবে শিশু কিশোরদের প্রথম পছন্দ ছড়া ও কার্টুনের বই। খড়িমাটি স্টলের সামনে ছড়াকার ডা. ভাগ্যধন বড়ুয়া বলেন, ‘পরিচ্ছন্ন একটি বইমেলা হচ্ছে। আশা করছি আগামীতে আরো সমৃদ্ধ হবে।’   

জানা যায়, এবারের বইমেলায় ১১০টি স্টল অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ঢাকার ৬০ ও চট্টগ্রামের ৫০টি। দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে সেলফি জোন, এ জোনে কিশোর, তরুণ-তরুণীরা ছবি তুলেছেন। আছে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা। নিরাপত্তায় আছে সিসি ক্যামেরা। আছে সুলভ মূল্যের খাবার। রাখা হয়েছে হেলথ ক্যাম্প। এখানে ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, ডায়াবেটিক মাপা, প্রেসার মাপার ব্যবস্থা আছে। শৃঙ্খলার জন্য নিরাপত্তা ক্যাম্প। পাঠক-দর্শকদের মননশীলতা তৈরিতে মেলার প্রবেশ পথেই রাখা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীম উদ্দীন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, আবদুল গাফফার চৌধুরী, প্রমথ চৌধুরী ও বেগম সুফিয়া কামালসহ বিশিষ্টজনদের অমিয় বাণী সমেত ছবি। সব মিলে বইমেলা প্রাঙ্গন রূপ নিয়েছে লেখক, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক ও দর্শকদের মিলনমেলায়।  


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর