১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৭:২১

চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাজনৈতিক নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রাজনৈতিক নেতারা

প্রতীকী ছবি

নগরীর শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন ভেড়া মার্কেট এলাকার বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজনৈতিক ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক উদ্যোগে  ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। 

অনেকে রান্না করা ও শুকনো খাবারও পরিবেশন করেছেন। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সরকারের পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। 

একইভাবে পরিদর্শনে গিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

সোমবার বেলা দুইটার দিকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বস্তিটি পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি সিটি করপোরেশন ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আপদকালীন পুনর্বাসনসহ নানামুখী সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে নগদ অর্থসহায়তা প্রদান করেন।

এ সময় মেয়র বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিতে থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা খাবার, ত্রাণ, বস্ত্র বিতরণসহ আপদকালীন সহায়তা দিচ্ছেন। করপোরেশনের পক্ষ থেকেও নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনী সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারি সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আর্তমানবতার সেবায় সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করা যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও নগরীর কয়েকটি সামাজিক সংগঠন।

প্রসঙ্গত, শনিবার দিবাগত রাতে এ অগ্নিকাণ্ডে ঘুমন্ত অবস্থায় নারী-শিশুসহ ৯ জন লোক মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুড়ে গেছে অনন্ত ২০০ বস্তিঘর। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওইদিনই মৃতদের দাফন-কাফনের জন্য তাদের পরিবারের হাতে ২০ হাজার টাকা করে অর্থসহায়তা দেন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাশহুদুল কবির জানান, এই অগ্নিকাণ্ড কারো পরিকল্পিত  বা ইচ্ছাকৃত কিনা এসব বিষয়সহ আরো কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি। দেখি সর্বশেষ কী হয়।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর