২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২২:১৩

উদ্বোধনের অপেক্ষায় 'স্বপ্নের' দুই মেগা প্রকল্প

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

উদ্বোধনের অপেক্ষায় 'স্বপ্নের' দুই মেগা প্রকল্প

চট্টগ্রামে উদ্বোধনের অপেক্ষায় স্বপ্নের দুই মেগা প্রকল্প। রবিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের (কর্ণফুলী টানেল) খনন কাজের উদ্বোধন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। উদ্বোধনের পর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বিশাল সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। 

জানা যায়, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে টানেল নির্মাণের কারণে অনেক বেশি বিদেশী পর্যটক দেশে আসবেন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে যানজটমুক্ত হবে চট্টগ্রাম নগরী। তাছাড়া মিরসরাই ইকোনোমিক জোন ও আনোয়ারা শিল্প এলাকা তথা কেইপিজেডে বিনোযোগ বৃদ্ধি ও বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধি পাবে পাবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। 

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর যথাযথভাবে শেষ করতে ইতিমধ্যে সকল প্রকার প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, টালেন নির্মাণ এক সময় স্বপ্ন ছিল, আজ বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (কর্ণফুলী টানেল) টানেল নির্মাণ প্রকল্পের বোরিং কার্যক্রম, লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে সুধী সমাবেশে যোগ দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

টানেল নির্মাণের কারণে অনেক বেশি বিদেশী পর্যটক দেশে আসবেন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিার্মণের ফলে যানজটমুক্ত হবে চট্টগ্রাম নগরী। এটি নিার্মণ হলে মিরসরাই ইকোনোমিক জোন ও আনোয়ারা শিল্প এলাকা তথা কেইপিজেডে বিনোযোগ বৃদ্ধি ও বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। তবে এসবের নির্মাণ কাজ এখন শুধুমাত্র সময়ের দাবি বললেন চেয়ারম্যান।  

প্রকল্প ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের পৃথক দুটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণে (কণুফূলী টানেল) কম্পিউটারের সাহায্যে বোরিং কার্যক্রম উদ্বোধন এবং টানেল গেটের কাছে বোরিং পয়েন্টে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৩ হাজার ৫ মিটার দীর্ঘ টানেল। টানেলটি নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে কাফকো ও সিইউএফএল পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে অপর প্রান্তে যাবে। নদীর তলদেশে সর্বনিম্ন ৩৬ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ ফুট গভীরে স্থাপন করা হবে দুটি টিউব। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। 

চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার থেকে শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি পাস হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) নগরের বৃহত্তম এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। 

আরও জানা যায়, নদীর তলদেশের সর্বনিম্ন ৩৬ ফুট (১২ মিটার) থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ ফুট (৩৬ মিটার) গভীরে স্থাপন করা হবে দুটি টিউব। একেকটি টিউবের চওড়া হবে ১০ দশমিক ৮ মিটার (৩৫ দশমিক ৪৩ ফুট) এবং উচ্চতা হবে ৪ দশমিক ৮ মিটার। একটি টিউবে দুটি স্কেল বসানো থাকবে, সেই স্কেল দিয়ে দুই লেনে গাড়ি চলাচল করবে। একই রকমভাবে আরও একটি টিউব থাকবে পাশে। আর দুটি টিউবের মধ্যে কমপক্ষে ১১ মিটার জায়গা খালি থাকবে। টানেলটি নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে নদীর অপর পাড়ে কাফকো ও সিইউএফএল পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে বের হবে।

বিডি প্রতিদিন/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর