চট্টগ্রামে নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও রাউজান আসনের সাবেক এমপি।
শনিবার চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোরশেদ এলিটের বাড়িতে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় সেনাবাহিনীর সামনে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। একটি ভিডিওতে গোলাম আকবরকে ধাক্কা দিতেও দেখা গেছে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও নগদ এর নির্বাহী পরিচালক, শেখ হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী নিয়াজ মোর্শেদ এলিট নিজের গ্রামের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন এমন খবর ছিল বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে। শনিবার দুপুরে তাকে উদ্ধার করতে ওই বাড়িতে যান বিএনপির জেলা আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। এ খবর শুনে দীর্ঘ ১৫ বছর শেখ হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের শিকার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। পরে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম অবরুদ্ধ গোলাম আকবরকে উদ্ধার করতে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনকে জানালে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে এবং নিরাপদে ফিরে যেতে সাহায্য করেন।’
এ বিষয়ে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, আমি ঢাকা যাওয়ার পথে ইউসুফ সাহেবের বাসায় দাওয়াত দিয়েছিল। সেখানে যাওয়ার পথে কয়েকজন নেতাকে বলেছি, তারাও এসেছিল। আমি ৩০ মিনিট পরে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান দু’শত জনের মতো মানুষ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। ইউসুফ সাহেবের ছেলে নাকি যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিল, সেটা আমার জানা ছিল না।
জানা যায়, মীরসরাইয়ের বিএনপির যে সব নেতাকর্মী বিগত আন্দোলনে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের কবর জিয়ারত করতে যান গোলাম আকবর খোন্দকার। দুপুরে দাওয়াতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নগদ এর পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বাবা মুক্তিযুদ্ধ দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম ইউসুফের বাড়ি যান গোলাম আকবর। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মিরসরাই বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে চারদিক থেকে বাড়ি ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ভিতরে থাকা নেতাকর্মীদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে গোলাম আকবর খোন্দকারকে ধাক্কা দেয় এক কর্মী। এরপর অবস্থা আরও বেগতিক হলে সেনাবাহিনী খবর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে তাকে অবরুদ্ধ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ সময়ও বিএনপির বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা গোলাম আকবর খোন্দকারকে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত